নগণ্য শিক্ষার্থী নিয়ে চলা প্রাথমিক স্কুলকে অন্য স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে

১০ বছর ধরে অতি নগণ্য শিক্ষার্থী নিয়ে চলা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে পাশের অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে এই ধরনের ৩০০-এর মতো বিদ্যালয়ের তালিকা করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় বাস্তবতার নিরীখে একীভূত করার কাজ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই (ইন জেনারেল) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। স্থানীয় বাস্তবতা, প্রেক্ষাপট ও পারিপাশ্বিকতা—সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত থেকে আট। পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে সাত থেকে আটজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে। এই রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রকম বিদ্যালয়ের সংখ্যা আছে ৩০০-এর কাছাকাছি। এই বিদ্যালয়গুলোকে একীভূত করে দেওয়া হবে। যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নিচে, সেগুলোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেগুলোতে ১০ বছর ধরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নিচে, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী অন্য ভালো বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করে দেওয়া হবে।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা চাই, যে বিদ্যালয়গুলোয় ৫ জন, ১০ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলোকে একীভূত করে দেব। আর যে বিদ্যালয়গুলোর চাহিদা আছে, সেই বিদ্যালয়গুলোয় যা যা সুবিধা দেওয়ার, আমরা সেগুলো দেব।’