শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার হিড়িক

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। এক শ্রেনির মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ফুসলিয়ে নামেমাত্র মুল্যে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এসব কৃষি জমি থেকে উর্বর মাটি কাটার ফলে ফসল উৎপাদন কমে যাবে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এদিকে মাটি কাটা বন্ধে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করেও কোনো সুফল পাচ্ছেনা প্রশাসন। গতকাল শনিবারও উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে এক মাটি ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্ধীপ তালুকদার। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের, গোলগাঁও, খিলগাঁও, লাহারপুর, সিক্কা, কালাপুর ইউনিয়নের, লামুয়া, দক্ষীন কালাপুর, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের, পশ্চিম শ্রীমঙ্গল (লালবাগ আ/এ), পশ্চিম ভাড়াউড়া, রুপসপুর চিড়িয়াখানা রোড), ইসলামাবাদ, উত্তর উত্তরসুর, এসব এলাকায় সকাল থেকে রাত পযন্ত মাটির বহনকারী ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করছে। প্রতিদিন ১০-১২টি ট্রাক্টর দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় গ্রামের রাস্তা ধূলাতে সয়লাব হয়ে পড়ছে। মাটি কেটে নেওয়ার কারণে পরিবেশ দ‚ষণের পাশাপাশি ধূলা-বালির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। এদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দ‚র্ঘটনা। অবৈধ এসব যানবাহনের উৎপাতে অতিষ্ঠ স্কুলগামী কমলমতি শিশু-কিশোরসহ সকল পথচারিরা। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়াতে স্থানীয়রা এদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারছেন না।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক অভিযোগ করেন, সারাদিন মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে জমিতে স্তুপাকারে পড়েছে ধুলা। ধান গাছের চারা নষ্ট হচ্ছে। এভাবে মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরা শক্তিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমির মাটি কেটে নেওয়ায় কয়েকটি জমি নিচু হয়ে গেছে। এতে জমিতে দেওয়া সেচের পানি থাকছে না, ওই সব নিচু জমিতে গিয়ে জমা হচ্ছে। এতে অন্য কৃষকরাও বাধ্য হয়ে তাদের জমির মাটি বিক্রি করছেন। স্থানীয় কৃষক বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটা নিষেধ। সম্প‚র্ণ আইন পরিপন্থী কাজ।
মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচাক মো.বদরুল হুদা কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের আইনে কাভার করে না আমরা অভিযান দিবো কিভাবে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, ইতিমধ্যে আমরা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি, জরিমানা ও গাড়ি আটক করেছি । আজকে ও আমরা অভিযানে রয়েছি এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply