শ্রীমঙ্গলে খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ বন্ধে মাঠে নেমেছে ভোক্তা

আমিনুর রশীদ চৌধুরী রুমন, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ বন্ধে কাজ করছে । সেই লক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন এর নেতৃত্বে র‌্যাব-৯ ফোর্সে এর সহযোগিতায় গতকাল সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সোনার বাংলা রোড ও নতুন বাজারের বিভিন্ন মশলার মিলে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন ।

ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে মশলার মিলে রং পাওয়া যায়। মিল মালিকদের সাথে কথা বললে, মশলার সাথে রং মিশানো বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে রং মিশানোর কথা ব্যবসায়ীরা স্বীকার করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মোবাইল টিমকে মশলার মিল মালিকরা জানান, শ্রীমঙ্গলে প্রায় সব মশলার মিলে নিম্ন মানের মরিচের সাথে রং মিশ্রণ করা হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত রং মশলাতে মিশ্রণের অপরাধে সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত রকিব মশলার মিলকে ২০ হাজার টাকা, নতুন বাজারে অবস্থিত মাসুম মশলার মিলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।

আজ (৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার ২০২২ খ্রি: তারিখে সকাল ১০ টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ টি মশলার মিলের মালিকের উপস্থিতিতে মিল মালিকদের করণীয় প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় মিল মালিকরা জানান, গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে নিম্ন মানের মশলার সাথে রং মিশ্রণ করেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন বলেন, মশলার সাথে রং মিশ্রন করা আইন অনুসারে অপরাধ এবং রং মিশ্রণের ফলে ভোক্তাদের মরণব্যাধি রোগ হয়ে থাকে। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বলেন, আইন মেনে ব্যবসা করা, মশলাতে রং মিশ্রণ না করা, ব্যবসায়ীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইন্সেন নেওয়া এবং বিক্রয় ভাউচার প্রদান করা আইনি নির্দেশনা মেনে চলা । এছাড়াও ব্যবসায়ীদের মিল থেকে মশলা সংগ্রহ করে এবং তাদের দ্বারা ভাঙ্গানো মশলা খুচরা দোকান থেকে সংগ্রহ করে পরিক্ষা করে রং এর উপস্থিতি পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান,তিনি আরো বলেন, এই অনৈতিক কাজ থেকে ফিরে আসতে ব্যবসায়ীদের অবগত করেন । এসময় উপস্থিত সকল ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই অন্যায় কাজ আর করবেন না এবং খাবারে কোন প্রকার বেজাল মিশাবেন না বলে জানান।

জন স্বার্থে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কর্তৃক খাদ্য পণ্যের সাথে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ বন্ধে আরো কঠোর ভাবে কাজ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

Leave a Reply