১৯ দিন পর কাজে ফিরলেন চা শ্রমিকরা

নূর মোহাম্মদ সাগরঃ শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি:

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ১৯ দিন আন্দোলনের রোববার থেকে চা বাগানের কাজে ফিরলেন চা শ্রমিকরা। চা বাগানের সবুজ পাতাগুলো আপন মমতায় উঠাতে শুরু করেছেন তারা। রোববার সকাল থেকে চা বাগানের সর্দারের নেতৃত্বে সেকশন থেকে পাতা তুলে ঝুলি ভর্তি করছেন তারা। এর আগে গত ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘন্টা করে চার দিন কর্মবিরতী ও ১৯ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করে আসছিলো চা শ্রমিকরা। জনপ্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার দেয়া আশ্বাস বিশ্বাস না করে আন্দোলনকালে তারা চেয়ে রয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। গত শনিবার রাতে মালিক পক্ষের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরি দিতে রাজি হয় বাগান মালিকরা। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের প্রেসব্রিফিং এর পর চা বাগানগুলোতে চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যাওয়ার ঘোষনা দেন চা শ্রমিকরা।
রোববার সকালে বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে শ্রমিকদের চা বাগানে কাজ করার দৃশ্যগুলো। শ্রমিকরা চা বাগান গুলোতে কাজ শুরু করেছেন। সকাল ৯টার অনেক আগেই চা বাগানের শ্রমিকরা পাতা তুলতে শুরু করেন। সকাল থেকেই

চা বাগানগুলোর কারখানা চালু হয়। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বড় হয়ে উঠা চা পাতাগুলো দ্রুত তুলছেন শ্রমিকরা।
ভাড়াউড়া নারী চা শ্রমিক উষা হাজরা বলেন, পেটের দায়ে আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের অনেকে অনেক মিথ্যা কথা বলেছে। অনেকে আন্দোলন বন্ধ করতে বলেছে। আমরা বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর কথা ছাড়া আমরা আন্দোলন করবো না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের কথা ভাবেন। তিনি যে সীদ্ধান্ত দিবেন সেটা আমরা মেনে নিবো। শনিবার প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারন করে দিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি শ্রমিকদের জন্য ভাবেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে রোববার সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্বেও সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন। চা বাগানের ফ্যাক্টরীগুলো চালু হয়েছে। কিছু চা বাগানে চা পাতা রাখার জায়গায় পুরোনো চা পাতা থাকায় কাজে যোগ দেয়নি। আর ছুটির দিন থাকায় কিছু চা বাগানে শ্রমিকরা যায়নি। সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ হবে বলে চা বাগানগুলোতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *