হাইব্রিড বাবু পেঁপের বাম্পার ফলনে শ্রীমঙ্গলের মফরুছ মিয়ার মুখে হাসি

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ

শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কামাসিদ গ্রামের মফরুছ মিয়া একজন ব্যবসায়ী। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক তিনি। মফরুছ মিয়ার বিশ শতাংশ বাড়ির চারপাশে লাল তীর সিড এর হাইব্রিড বাবু পেঁপে চাষ করেছেন। এখন গাছ গুলোতে পেঁপে আসতে শুরু করেছে। তার চাষ করা করা পেঁপে গাছের ফলন দেখে মফরুছ মিয়ার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

মফরুছের চাষ করা গাছের সংখ্যা ৩৫ টি। তিনি বাড়ির চারপাশে কার্তিক মাসের শেষে পেঁপের গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সেই গাছগুলোতে ফল আসা শুরু করেছে। এপর্যন্ত তিনি প্রায় ৪০০ কেজির মত পেঁপে বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি পেপের বাজার দর পেয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পাইকারি। মোট ১০ হাজার ৫০০ টাকার মত পেঁপে বিক্রি করেছেন। এ বিষযয়ে মকরুছ মিয়া জানান, তিনি অনেকটা শখের বসেই বাড়ির আঙিনায় পেঁপে চাষ করেছেন এখন ফলন দেখে উনি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আরও জানান, গাছ পরিচর্যায় উনার স্ত্রী ও সন্তানরাও কাজ করে থাকেন। এতে বাড়তি শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। এবং পারিবারিক সবজি ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়তি আয় ও হচ্ছে বেশ ভালো। হাইব্রিড বাবু পেঁপের উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সিড লিমিটেডের এর ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক তিনি অনেকটা শখের বসেই করেছেন, এখন ফল আসার প্রাথমিক পর্যায়ে উৎপাদন দেখে উনি অভিভূত। তিনি আরও জানান, হাইব্রিড বাবু পেঁপের আকর্ষণীয় হলুদ শাঁস এবং ফলের মিষ্টতার পরিমাণ ৮ থেকে ১০ %। প্রতিটি ফলের ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি কাঁচা পাকা দুই অবস্থায় হাইব্রিড বাবু পেঁপে বাজারে বিক্রি করে কিছুটা লাভবান হওয়া যায়।

একর প্রতি ফলন ৩০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। লাগানোর ছয় মাস পরেই গাছ থেকে পেঁপে সংগ্রহ করা যায়। তাই বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক। মির্জাপুর গ্রামের অনেকেই এখন মকরুছ ভাইয়ের পেঁপের বাগান দেখতে আসেন। আগামীতে এই এলাকাগুলোতে পেঁপে চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *