বড়লেখায় আগর-আতর কারখানা পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা, ব্যবসায়ীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

শাহরিয়ার শাকিল, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের হাশিমপুর গ্রামের আগর-আতর ব্যবসায়ি মুজিবুল ইসলাম তারেকের আগর-আতরের কারখানা পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ১৯ জুন দিবাগত রাত পৌনে চারটার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি তারেকের দাবী পূর্ব-শত্রুতার জেরেই তার বসতঘর সংলগ্ন আগর-আতরের কারখানায় আগুন লাগানো হয়। দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে মুজিবুল হক তারেকের বাড়ির অন্যান্য ঘরগুলো রক্ষা পায়। তবে এর আগেই আগুনে কারখানার আধাপাকা টিনসেটের বড় কক্ষ, আগর-আতর তৈরীর মূল্যবান কাঠ, কাঁচামাল ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে চারটার দিকে উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের মুজিবুল ইসলাম তারেকের বসত বাড়ির আগর-আতরের কারখানায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

এসময় দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর ও সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গার দৃশ্য অপর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পেরে তারেকের পরিবারের সদস্য ও বাড়ির কেয়ারটেকার চিৎকার শুরু করেন। এসময় আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসেন। পরে সাহায্যের জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষণার দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে এর আগেই কারখানা কক্ষ ও আগর-আতরের কাঠ, কাঁচামাল ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে যায়।

আগর-আতর ব্যবসায়ী মুজিবুল ইসলাম তারেক বলেন, গত একমাস ধরে চিকিৎসা জনিত কারণে তিনি সিলেটে একটি ক্লিনিকে রয়েছেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়ির আগর-আতরের আধা-পাকা টিনসেট কারখানায় আগুন দিয়েছে। বাড়ির কয়েকজন মহিলা আর বাড়ির কেয়ারটেকার আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার দেন। প্রতিবেশীরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়ায় স্থানীয়রা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা আগুন দেওয়ার আগে একটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। তবে অপর ক্যামেরায় আগুন লাগানোর দৃশ্য ধারণ হওয়ায় এক দুর্বৃত্তকে সনাক্ত করেছেন।

তার দাবি আগুনে কারখানা ঘর, আগর-আতরের কাঠ ও কাঁচামাল ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, থানায় মামলা করবেন।

বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনের সূত্রপাত ও কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

তবে কেউ যদি আগুন লাগিয়ে থাকে তবে ক্ষতিগ্রস্থ আগর-আতর ব্যবসায়ী থানায় মামলা করতে পারেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *