মৌলভীবাজার জেলা ‘মনুনদী’র বন্যা প্রতিরক্ষা ও ভাঙ্গন রোধে মেগা প্রকল্পের কাজ

শেখ মাহমুদুর রহমান (প্রধান প্রতিবেদক, মৌলভীবাজারঃ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে থেকে মনু নদীর উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলায় মনুমুখ নামক স্থানে কুশিয়ারা নদীর সাথে সংযুক্ত হয়।

মৌলভীবাজার জেলা শহর সহ ৩টি উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে মনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাধ ভেঙ্গে ও বাধের উপর দিয়ে পনি প্রবাহিত হয়ে প্রায় ১১ টি ইউনিয়ন এলাকা জুড়ে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়, জেলার বেশি অংশে বন্যায় প্লাবিত হয়ে বাড়ি ঘর ফসলা সহ ব্যাপক জিনিসের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

১৯৮০ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মনু নদীর দুই পাড়ে প্রায় ১৪৫ কিঃমিঃ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ তৈরি করা হয়। দীর্ঘ দিন পুনর্নির্মাণ বা পুর্নবাসন না করার কারণে বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা প্রতিরোধ বাধের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে নদী ভাঙ্গন ও বাধের উপর দিয়ে পনি প্রবাহিত হয়ে বন্যায় প্লাবিত হয়ে।

২০১৮ সালে বন্যা পরবর্তী সময়ে মনু নদীর বাধ ভাঙ্গন মোকাবিলায় বা বন্যা প্রতিরক্ষায় একটি স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে, বর্তমান সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কারিগরি কমিটি পরিক্ষা নিরিক্ষা করে স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনের আলোকে বন্যা প্রতিরক্ষা ও নদী ভাঙ্গন রোধে, মনু নদীর দুই পাড়ে পুর্নসংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৯৯৬ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প ২০২০ সালের জুন মাসে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ‘একনেক’ সভায় অনুমোদ পায়। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের মেয়াদকাল চলতি বছর ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর আওতাধীন এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি অনুসন্ধানে সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের কাজের মধ্যে রয়েছে পুরাতন বাধকে উচু ও চওড়া বৃদ্ধি করে স্থায়ী ভাবে বন্যা প্রতিরক্ষা বাধ নির্মাণ, মনু নদীর দুই পাড়ে প্রায় ৮৬ কিঃমিঃ বন্যা প্রতিরক্ষা বাধের মাটির কাজকে ৮ টি প্যাকেজে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি প্যাকেজের কাজ আলাদাভাবে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে মাধমে কাজ বাস্তবায়নের চুক্তি হয়। এই ৮৬ কিঃমিঃ মেগা প্রকল্পের কাজের মধ্যে ২৮.৮৪ কিঃমিঃ ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ৪৯ টি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ব্লকের কাজের সাথে ফ্লাড ওয়াল, গাইড ওয়াল সহ প্রায় ১১ লক্ষ জিইও (GEO) বেগ ডাম্পিং এর জন্য রয়েছে। শহর এলাকার বন্যা প্রতিরক্ষায় প্রায় ২.৫ কিঃমিঃ জায়গায় বিশেষ ভাবে তৈরী স্টিল সীটের বার পাইলিং ও ফ্লাড ওয়ালের কাজ রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নদীর নিচে ভেসে উঠা চড় কেটে নদীর গভীরতা বৃদ্ধির জন্য প্রায় ১২.১১ কিঃমিঃ চড় কাঁটার প্রজেক্ট রয়েছে এ প্রকল্পে
জেলার তিনটি উপজেলা জোরে এ মেগা প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে অনেকাংশে কাজ চলমান রয়েছে, অনেকাংশে কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে, আবার কিছু কিছু জায়গায় কাজ শুরু করার পূর্বে প্রয়োজনীয় কারিগরি ও দাপ্তরিক কাজ চলমান থাকায় বিভিন্ন প্যাকেজের আওতাধীন কাজের প্রস্তুতি নিতে বিলম্বিত হচ্ছে। মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাধের পুর্নসংস্কার কাজের এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৯৯৬ কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হয়। এ প্রকল্পের বিভিন্ন কাজের সাইট পরিদর্শন করে দেখাযায় দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ এর মত হবে বলে ধারণা করা হয়।

৮ টি প্যাকেজের বিবরণে রয়েছ, প্রথম প্যাকেজেঃ- কুলাউড়া উপজেলার পৃতিমপাশা ইউনিয়নের আলী নগর হইতে টিলাগাঁও ইউনিয়নের মনু রেলওয়ে ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৯.৪০ কিঃমিঃ। দ্বিতীয় প্যাকেজঃ- মনু রেলওয়ে ব্রীজ হইতে রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের হরিপাশা পর্যন্ত প্রায় ১১.৫৫ কিঃমিঃ।
তৃতীয় প্যাকেজঃ- কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর হইতে হাজীপুর ইউনিয়নের ‘রনচাপ’ পর্যন্ত প্রায় ৯.৮৫ কিঃমিঃ। চতুর্থ প্যাকেজঃ হাজীপুর ইউনিয়নের “রনচাপ” হইতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের তারাপাশা পর্যন্ত প্রায় ১২.৭৪ কিঃমিঃ। পঞ্চম প্যাকেজঃ- রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের কান্দিরকুল হইতে সদর উপজেলার চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের মনু ব্যারেজ পর্যন্ত প্রায় ৯.৬৭ কিঃমঃ। ষষ্ঠ প্যাকেজঃ- সদর উপজেলার চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের বলিয়ারভাগ ঈদগা হইতে আখাইলকুড়া ইউনিয়নের আমুয়া পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৯.৪৩ কিঃমিঃ। সপ্তম প্যাকেজঃ- রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের তারাপাশা ব্রীজ হইতে প্রেমনগর পর্যন্ত প্রায় ১১.৮৯ কিঃমিঃ। অষ্টম প্যাকেজঃ- সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শ্যামেরকুনা হইতে হামহামি ছড়ার মুখ এবং কনকপুর ইউনিয়নের শাহ বন্দর হইতে কামালপুর ইউনিয়নের তৈলক্ষ্য বিজয় (নতুন ব্রিজ) পর্যন্ত প্রায় ১১.৩৮ কিঃমিঃ।

৮ টি প্যাকেজের মধ্যে ৪ টি প্যাকেজে আওতায় মাটির কাজ চলমান-চিত্রে রয়েছে। ২টি প্যকেজের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চলছে, এবং কাজ শুরু’র পূর্বে পুনরায় জরিপে কাজ শেষে প্রতিবেদনে হেড অফিস থেকে অনুমোদন না আসায় ২ টি প্যাকেজের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। প্যাকেজ গুলোর সূত্র ধরে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সরজমিন পরিদর্শনে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত চাতলাপুর বর্ডার এলাকা হয়ে হাজীপুর ইউনিয়নের ‘রনচাপ’ গিয়ে দেখা যায়, RLE-3 (৯.৮৫০) কিঃমিঃ প্যাকেজের আওতায় কাজ ‘রনচাপ’ এলাকা হইতে বিশাল উচ্চতা ও চওড়ায় মাটি ভরাট করে বন্যা প্রতিরক্ষা বাধের কাজ চাতলাপুর বর্ডারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অত্র প্যাকেজের (৯.৮৫০) কিঃমিঃ এলাকার মধ্যে নদী ভাঙ্গনের ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলোতে, ভিন্ন প্যাকেজে বিশেষ ব্যবস্থায় গাইড ওয়াল ও বিভিন্ন সাইজের সিসি ব্লক দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধক দেয়াল তৈরী জন্য ব্লক বানানো কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, এখন প্রতিস্থাপনের কাজ শুরুর পথে রয়েছে। অন্য দিকে RLE-04 (১২.৭৪০) কিঃমিঃ প্যাকেজের আওতায় বন্যা প্রতিরক্ষার বিশাল বাধের মাটি ভরাটের কাজ ‘রনচাপ’ হইতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের তারাপাশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অত্র প্যাকেজের (১২.৭৪০) কিঃমিঃ বিভিন্ন বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে নদীর ঝুকিপূর্ণ স্থানে (ভাঙ্গন এলাকায়) অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে।

RRE-6 (৯.৪৩০) কিঃমিঃ প্যাকেজের আওতায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীগাট ইউনিয়নের বলিয়ারভাগ হইতে আখাইলকুড়া ইউনিয়নের আমুয়া গ্রাম (মনু নদীর শেষ প্রান্ত) সেখানে (আমুয়া) থেকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে, বন্যা প্রতিরক্ষা বাধে মাটি ভরাট করে, আখাইলকুড়া ইউনিয়নের (নতুন ব্রিজ) খাঁর গাঁও হয়ে, চাঁদনীগাঁট ইউনিয়নের বলিয়ারবাগ পর্যন্ত এগিয়ে আসবে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান। এই প্যাকেজের (৯.৪৩০) কিঃমিঃ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন, চড় ও বাধ প্রতিরক্ষার জন্য আর সিসি ডালাইর মাধমে ফ্লাড ওয়াল, গাইড ওয়াল সহ ব্লক ডাম্পিংয়ের দৃশ্যমান কাজ চলমান রেয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা শহর ঘষে মনু নদী প্রবাহিত হওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে, বাধ অতিক্রম করে শহরের ভিতরে পানি ঢুকে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শহরের বন্যা প্রতিরক্ষায় ব্যয়বহুল উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে শহর এলাকার নদীর পার দিয়ে প্রায় ২.৫ কিঃমিঃ জোরে, দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনায় প্রায় ২৩.৪ ফুট লম্বা ১.৬ ফুট চওড়া গাড়ো আকারের স্টিল সীটের বার একটির সাথে আরেকটি যুক্ত পাইলিং করে মাটির গভীরে দেওয়া হচ্ছে। তার উপরে আর সিসি ডালাইর মাধমে ফ্লাড ওয়াল দেওয়া হবে, পাইলিংয়ের কাজ শহরের পু্র্ব বরহাট থেকে শুরু হয়েছে এবং শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মৌলভীবাজার এর আওতাধীন এ প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি অনুসন্ধানে কিছুটা দুর্গতি তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির কাছে কাজের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কথা বলে জানাযায়। বন্যা প্রতিরক্ষা বাধে মাটি ভরাটের কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় নদীর অবস্থান দেখে বাধ কিছুটা স্থানান্তর করতে গেলে সেখানে জমির মালিক জমির মূল্য দাবী করেন, কাজে বাঁধা দেয়ন। বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান না করা পর্যন্ত কাজে বেগাত ঘটে এবং কাজ এগিয়ে নিতে সময় লাগছে। অন্য দিকে প্রতিটা কাজের সাথে যে-সব মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহা চুক্তি মূল্যের চেয়ে বর্তমান বাজার মূল্য অনেক বেশি। মূল্য বৃদ্ধির কারনে রড, সিমেন্ট, বালি, পাথর সহ কাজের সাথে সংযুক্ত অন্যান্য মালামাল অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে হয়। মাটি বহনের ট্রাক ভাড়া সহ কাজে জড়িত মেশিনারির ব্যয়ে অতিরিক্ত হওয়ার কারনে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানান। বর্তমান সময়ের পরিস্থিতিতে বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকার ও সরকারের সংসৃষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।

অন্য দিকে গাইড ওয়াল, ফ্লাড ওয়াল ও ব্লক প্রতিস্থাপনের জন্য নদীর পার ঘষে মাটি কাটতে গেলে জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র, গাছগাছালি কাটাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র জটিলতার কারণে স্লোফ বা ডালোস্থান তৈরি করতে না-পারায় এই কাজগুলো কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তবে প্রতিটা জায়গায় দেখা যায় এবং ঠিকাদারের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে জানা যায় ব্লক তৈরি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রশাসনিক জটিলতা শেষ হলেই, ব্লক প্রতিস্থাপন, গাইড ওয়াল ও ফ্লাড ওয়ালের কাজ শেষ করতে পারবে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান।

সরেজমিনে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে পাওয়া তথ্যে
বিষয়ে জানতে গেলে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে নদীর ঝুকিপূর্ণ কিছু কিছু জায়গায় নদীর গতির অবস্থান বুঝে বন্যা প্রতিরক্ষা বাধ কিছুটা স্থানান্তর করতে গেলে জায়গার মালিকরা, জায়গার মূল্য দাবি করেন। সেটা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়। প্রশাসনিক জটিলতা তেমন বড় কিছু নয়, নদীর পার ঘষে বা সাইট কাটতে গেলে জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র নেওয়া প্রয়োজন, তেমনি নদীর কিনারে কাজের স্বার্থে গাছগাছালী কাটা পরতে পারে, তার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ও বন বিভাগের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। আমি এ অফিসে নতুন এসে যোগদান করে এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের সাথে কথা বলেছি, অতি শীগ্রই সমাধান হবে। এসব সমস্যার জন্য কোন কাজ বাধাগ্রস্ত বা বন্ধ হয়নি, সবকটি কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে, আপনার ধারণা ও আমার তথ্য সূত্রে, এপর্যন্ত প্রকল্পের চুক্তি মূল্যের প্রায় ৩০ ভাগ কাজ অতিক্রম করেছে, যাহা দৃশ্যমান রয়েছে। প্রতিটা কাজের উপর আমার নজরদারি রয়েছে, কাজের সাথে সম্পৃক্ত আমার অফিসের সহকারী প্রকৌশলীরা প্রতিটি কাজের প্রতি যত্নশীল রয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল চলতি বছরে জুন মাস পর্যন্ত থাকলেও পরিবেশ পরিস্থিতি এবং প্রতিকূল অবস্থা বিবেচনা করে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা হতে পারে। আপনি বলছেন এ মেগা প্রকল্পে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মাননীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ  বা জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ হাসান ভুমিকা কি? দেখুন আপনি এ প্রকল্পের কাজে যে কয়টা সমস্যার কথা বলেছেন এসব সমস্যা সমাধানে উনাদের ভুমিকা অপরিসীম। উনাদের সাথে সমন্বয় রেখে এবং সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। কথাগুলো নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব জাবেদ ইকবাল বলেন। এ প্রতিবেদনের সকল তথ্য, সরেজমিনে পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও প্রকল্পে সংসৃষ্ট দপ্তরের তথ্য সূত্রে পাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *