আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি অধ্যায় স্বপ্নের এলিজাবেথ লাইন তথা ক্রসরেল যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে সূচিত হলো সেই নতুন ইতিহাস। ১৮.৮ বিলিয়ন পাউণ্ড ব্যয়ে এই প্রজক্টের সফল বাস্তবায়ন লণ্ডনের যাত্রী পরিষেবায় নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন করেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই লাইনটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। কয়েকবার পেছানোর পাশাপাশি বাড়াতে হয়েছে বাজেটও। লাইনটি চালু হওয়ার নির্ধারণকৃত একাধিক সময়সীমা পার করে অবশেষ তা ২৪ মে, মঙ্গলবার যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হয়। তবে ছিলো না কোনো “ফিতা কাটার” উদ্বোধনী মচ্ছব। নতুন এই লাইনের অনুমোদন কাজ লেবার সরকারের সময় শুরু হয়ে সমাপ্তি হলো টোরি সরকারের সময়ে। অথচ এর জন্য কোনো দলই কৃতিত্ব নিয়ে টানাটানি করছে না।
লণ্ডনের মেয়র সাদিক খান লাইনটি চালুর প্রথম দিন প্যাডিংটন স্টেশন থেকে সর্বসাধারণের সাথে ট্রেইনটিতে আরোহন করেন এবং তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। একই সাথে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পুরো দেশ নতুন লাইনের সুফল ভোগ করবে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এক সপ্তাহ আগে অবশ্য রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্যাডিংটন স্টেশনে অঘোষিত এক সফরের মাধ্যমে তাঁর নামাঙ্কিত এলিজাবেথ লাইনটির সমাপ্তি কাজ দেখে যান এবং নামফলকটি উন্মোচন করেন।
লাইনটির প্রথম যাত্রী হওয়ার জন্য মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে লোকজন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।