শ্রীমঙ্গলে টিসিবি ডিলার আলমগীর সেলিমের সংবাদ সম্মেলন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আরকে মিশন রোডের বাসিন্দা তাঁতী দলের সাবেক নেতা ও টিসিবি ডিলার আলমগীর সেলিম তাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা মাদক মামলায় জড়ানো ও ও তার বিরুদ্ধে অসত্য মনগড়া সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে টিসিবি ডিলার আলমগীর সেলিম কতৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২২ জুলাই ২০২৩ বেলা ১১টার দিকে আমি আমার আরকে মিশন রোডস্থ বাসায় অবস্থান করছিলাম। এসময় এসময় পুলিশ আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে বলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করে। পরে আমি মামলা সুত্রে জানতে পারি গত ১৯ জুলাই ২০২৩ রাতে শহরের মিশন রোডের চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ১৫পিস ইয়অবাসহ জনৈক সুভাষ শীলের পুত্র মিটুন শীল (৩২) পুলিশের হাতে আটক হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে এসময় আমি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই।

আলমগীর সেলিম লিখিত বক্তব্যে অরো বলেন, কোন অপরাধী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে যদি পালিয়ে যায়। সেই অপরাধী আত্মগোপনে থাকার কথা। কিন্তু আমাকে বাসা থেকে ডেকে এনে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃত মিটুন শীলের সাথে আমার কোন ধরণের সম্পর্ক নাই। আমার সন্দেহ প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জনৈক তিমির বনিক তার কিছু অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে টিসিবি পণ্য বিক্রির আড়ালে আমি ইয়াবা বিক্রি করছি। এবং টিসিবি পণ্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দৌড় গোড়ায় না দিয়ে নিজের মতো করে যত্রতত্র বিক্রি করছি। এবং বলা হয়েছে গত ১৯ জুলাই শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃত মিটুন শীল এর সঙ্গে ইয়াবা বিক্রির সাথে আমি জড়িত ছিলাম। এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাই। আমি যদি পুলিশ দেখে পালিয়ে যাই। তবে পুলিশ কেন আমাকে আমার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখায়। কোন অপরাধী কি আ´গোপনে না থেকে বাসায় অবস্থান করবে?। এ সংবাদে স্পষ্টতই প্রতিয়মান হয় যে, আমাকে হেয় করার সকল কলাকৌশলে দিয়ে সংবাদটি লিখা প্রকাশ-প্রচার করা হয়েছে।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের আড়ালে ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। আর দীর্ঘদিন ধরে আমি ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য উপাত্ত থাকত। তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রীর নামে লাইসেন্সকৃত টিসিবি ডিলাশীপেরে মাধ্যমে বিধি মোতাবেক প্রকৃত গ্রাহক ও ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করে থাকি আমরা। সংবাদে তিমির বনিক উল্লেখ করেছেন, টিসিবি পন্য মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌছে না দিয়ে যত্রতত্র বিক্রি করছি। এ বিষয়ে আমি বলতে চাই। এমন কোন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ছিলনা বর্তমানেও নাই। এমন অভিযোগ যদি কেউ দিয়ে থাকেন তার নাম ও বক্তব্য সংবাদে প্রকাশ করার কথা। তা ছাড়াও সংবাদে আমাকে ক্যাথলিক মিশন রোডের বাসিন্দা বলা হলেও। মুলত আমি আরকে মিশন রোডের বাসিন্দা। মামলার এজাহারে উল্লেখ্য রয়েছে।
আলমগীর সেলিম আরো বলেন, বিভিন্ন অন লাইন পোর্টালের নিউজে তার একক ছবি ব্যবহার না করে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে তোলা গ্রুপ ছবি উদ্দেশ্য মূলকভাবে ব্যবহার করেছে। অথচ ওই ছবিতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে ক্রুপ করে দেয়া হয়েছে। এতেই বুঝা যায়, বিএনপির নেতারা তার আটকের পেছনে রয়েছেন বলে তিনি জানান। তারা তিমির বনিককে ব্যবহার করে এ কাজ করেছে বলে জানান। তিনি তিমির বনিকের অপসাংবাদিতকার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২০ জুলাই খুচরা মাদক কারবারি মিঠুন শীলকে মাদক সহ আটক করা হয়। পরে মিঠুন শীল স্বীকারোক্তি দেয় যে,সে দীর্ঘদিন থেকে আলমগীর সেলিমের নিকট থেকে ইয়াবা টেবলেট ক্রয় করে আনে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয় বলে জানান। তিনি আরও জানান, আটকের পর আলমগীর সেলিমও পুলিশের নিকট স্বীকার করেন তিনি এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন।


সংবাদ সম্মেলনে শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোছাব্বির আলী মুন্না, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জয়নাল আবেদিন চৌধুরী, যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব টিটু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।