সিলেট প্রতিনিধি;
রাতে আকাশে কালো মেঘের ঘুরাঘুরি আর গর্জন। সাথে সামান্য বাতাস আর কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি, এই শেষ। এতে তাপমাত্রায় বিন্দুমাত্র হেরফের হয় না। দিনের অবস্থা আরও খারাপ। প্রখর রোদে শরীর জ্বালানো তাপের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মানুষ।গত ৬দিন ধরে আবহাওয়ার প্রায় একই অবস্থা সিলেটে। গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন একটু বৃষ্টি ও বাতাসের অপেক্ষায় ছটফট করছেন। এরমধ্যে গরমের মাত্র আরও বাড়ার দুঃসংবাদ দিল সিলেট আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (১৩ জুলাই) সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানান আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করবে।গত কয়েকদিন যাবত সূর্যের তেজ যেন অগ্নি রূপে ঝরছে। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। সকালে সূর্য উঠার পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে রোদের তীব্রতা। সূর্য ডোবার পরও তাপমাত্রা কমছে না। সিলেট নগরীর সাগরদিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা সোহাগ আহমদ বলেন, একদিকে রোদের তীব্রতা অপরদিকে লোডশেডিং। ঘরে বাইরে কোথাও একদণ্ড শান্তিতে বসার সুযোগ নেই। তবে এই গরমে কিছুটা আশার বাণী শুনিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর।সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানান, শুক্রবার থেকে গরমের তীব্রতা কমবে। পাশাপাশি আগামী ১৭ ও ১৮ জুলাই কিছুটা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিস সূত্রে জানা যায় , গত ৭ জুলাই থেকে সিলেটে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ৭ জুলাই থেকে ৯ জুলাই প্রতিদিন সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ জুলাই ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ১১ জুলাই ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১২ জুলাই ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ বলেন, সমুদ্রে লো প্রেশার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত সাইক্লোনের পূর্বে এরকম তাপদাহ হয়। তবে মুনসুনের সাইক্লোন বেশি শক্তিশালী হয় না। এই তাপমাত্রা শুক্রবার থেকেই কমতে শুরু করবে। সিলেটে ১৭ জুলাই থেকে ও সুনামগঞ্জে ১৮ জুলাই তারিখে কিছুটা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।