জাপান আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এছাড়া কোরিয়া, চীন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দৃষ্টিজয়ীদের জন্য চাকরি মেলা আয়োজন করা হয় এবং পাঁচজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর চাকরির ব্যবস্থা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী ১১ তারিখে নতুন কেবিনেট করেছেন। তারপর থেকে গত দুই মাস আমরা যেখানে যাচ্ছি, সেখান থেকেই কিন্তু আগামী দিনে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা পাচ্ছি। অন্তত পাঁচটি দেশের কথা বলতে পারবো যাদের সঙ্গে আমার এ দুই মাসে ডব্লিউটিও (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) কনফারেন্সে বাইলেটারেল আলাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, জাপান প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার আগামী পাঁচ বছরে বিনিয়োগ করার জন্য পরিকল্প নিয়ে কাজ করছে। আমরা তাদের সঙ্গে একটা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে গত সপ্তাহে সাইআপ করেছি। আমরা আশাকরি, ছাব্বিশের (২০২৬ সাল) মধ্যে একটা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট আমাদের সঙ্গে হবে। কোরিয়া, চীন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিটি দেশে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে কিন্তু বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে…।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউ নো বাংলাদেশ শুধু বাংলাদেশ না। বে অব বেঙ্গলের অ্যান্ট্রি পয়েন্ট হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানে সাউথ এশিয়া, সাউথ ইস্ট এশিয়া। বিশেষ করে সেভেন সিস্টারের যে সাতটা ল্যান্ড লক যে স্টেট আছে ইন্ডিয়ার, এখানেই প্রায় বিলিয়ন’স অব ডলার ইনভেস্ট করবে জাপান। আমার সঙ্গে সে দিন কথা হয়েছে, তারা কাজ করার জন্য উদ্যোগী।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ি যারা যাননি, তাদের আমি অনুরোধ করবো…। মাতারবাড়ি যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সেটা যখন ডেভলপ হবে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর যদি সিঙ্গাপুর হতে পারে পোর্টের কারণে, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে সিঙ্গাপুরের চেয়েও বড় সম্ভাবনার জায়গা খুলবে শুধু এক মাতারবাড়ি ডিপ সি-পোর্টের মাধ্যমে। আপনারা বিশ্বাস করতে পারবে না, সেখানে কি বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার হয়েছে, কীভাবে ট্রেড এবং কমার্স বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ করছেন। আমি মনে করি, আমাদের সবার স্বপ্ন সার্থক হবে যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক হিসেবে সোনার বাংলা গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবো। আমাদের যার যার জায়গা থেকে যদি সঠিক কাজটা করি, আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার তা গড়তে পারবো।