ত্বকের প্রয়োজন যেমন টোনার

সি টি এম! ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং-ত্বকের যত্নের প্রধান সূত্র। সূত্রটি মানলেই পাওয়া যায় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর ত্বক। তবে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, ত্বকচর্চার রুটিন ক্লিনজিং আর ময়েশ্চারাইজিংয়েই সীমাবদ্ধ থাকে। টোনিংকে অনেকেই এড়িয়ে যান। অথচ এই টোনিংই সুস্থ, মসৃণ ত্বকের চাবিকাঠি।

টোনার ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। এটি ত্বকের বাড়তি পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে। এ ছাড়া রোমকূপ সংকুচিত করে ব্রণের প্রবণতা কমাতে সহায়তা করে। টোনিং ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে। অন্যদিকে এটি ত্বকের বলিরেখা কমাতেও বেশ উপকারী। এ জন্য ত্বকচর্চায় টোনিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।

এ প্রসঙ্গে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক ও বিশিষ্ট রূপ বিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম বলেন, ‘বাজারে নানা ধরনের টোনার মিলবে। বিউটি প্রোডাক্ট প্রস্তুতকারী এসব প্রতিষ্ঠান ত্বকের ধরন বুঝে টোনার তৈরি করে থাকে। তবে বাজারের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি টোনার হবে মানসম্মত। সব উপকরণ পাবেন হাতের কাছেই।’

তৈলাক্ত ত্বক

 

তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ময়লা জমে। ফলে দেখা দেয় ব্রণ আর নানা সমস্যা। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া টোনার ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা ১ চা চামচ ও গোলাপজল ২ চা চামচ একসঙ্গে মেশান। চাইলে বোতলে ভরে ফ্রিজার করে রাখতে পারেন। এবার তুলো নিয়ে এ মিশ্রণটি মুখে লাগান। ৫ মিনিট বাদে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুবার করে ব্যবহার করতে পারেন। মিশ্রণটি তৈলাক্ত ত্বকে দ্রুত কাজ করে। ত্বক উজ্জ্বল ও নরম দেখায়।

শুষ্ক ত্বক

শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের ঝামেলা একটু কম হলেও এ ধরনের ত্বকে আর্দ্রতা না থাকায় ত্বক খুবই রুক্ষ দেখায়। দেখা দেয় দ্রুত বার্ধক্য এবং বলিরেখা। এ ধরনের ত্বকে নিয়মিত টোনার প্রয়োজন। ১ চা চামচ গ্লিসারিন ও ৪ চা চামচ গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন ভালো করে। ঠান্ডা পানি দিয়ে আগে মুখ ধুয়ে মুখ মুছে নিন। তারপর তুলো টোনারে ভিজিয়ে ত্বকে লাগান। সারা মুখে মিশ্রণটি লাগানো হয়ে গেলে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। রোজ দুবার করে টোনার লাগাতে পারেন। ত্বক ফিরে পাবে উজ্জ্বলতা; নরম ও মসৃণ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *