ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণভবন থেকে বের হয়ে ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাওয়া নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন তানভীর হাসান সৈকত। আর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন রিয়াজ মাহমুদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর আহমেদ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন রাজিউল ইসলাম বাপ্পী। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সজল কুণ্ডুকে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সাদ্দাম হোসেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ডাকসুর এজিএস হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শেখ ইনান ছাত্রলীগের বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির নাট্য বিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি ডাকসুরও সদস্য ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কাউন্সিল। এসব কাউন্সিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে কমিটি ঘোষণা হয়নি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় কাউন্সিল অধিবেশন বসে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সেখানে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আবেদন করা প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের জিজ্ঞাসা করেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রতি সবার আস্থা আছে কি না। সবাই একযোগে হাত তুলে সম্মতি জানান।
ওবায়দুল কাদের এরপর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বাছাইকৃত আবেদন ফরম ও আগ্রহী প্রার্থীদের বায়োডাটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। শুধু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব পেতে ইচ্ছুকদের বায়োডাটাও তার হাতে তুলে দেয়া হবে। তিনি খোঁজখবর নিয়ে, যাচাই-বাছাই করে নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন। পরে একযোগে সব কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মেলনের আগেই এসব কমিটি ঘোষণার আশ্বাস দেন তিনি।