হাকালুকি হাওরে “অলৌকিক ঘটনায়”তোলপাড়

বিশেষ প্রতিনিধি;

এই হাওরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে এখন চলছে তোলপাড়। ঘটনার ভিডিওচিত্র ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে কেউ কেউ এই ঘটনাকে অলৌকিক, কেউবা ভুতূড়েকাণ্ড বলেও অভিহিত করেছেন।

জানা গেছে, হাকালুকি হাওর সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে এই হাওরে দেখা যায় অভাবনীয় একটি ঘটনা। বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার লোকজন এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। তারা দেখেন, হাওরের মধ্য থেকে ঘূর্ণনের মধ্য দিয়ে বৃত্তাকারে পানি সাঁ সাঁ করে ওঠে যাচ্ছে আকাশে।অনেকেই এই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়েন। এরপর এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হাকালুকি হাওরে এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। কেউ কেউ এমন ঘটনায় আতঙ্কিত বলেও জানিয়েছেন।

আসলে কী ঘটেছিল হাকালুকি হাওরে? জানতে যোগাযোগ করে সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা সাধারণত আমাদের দেশে দেখা যায় না। এটি মূলত একধরনের টর্নেডো।’

তিনি জানান, জলের উপর শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হলে প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণয়মান বাতাসের টানে জল স্তম্ভাকারে উপরের দিকে উঠতে থাকে। জল দিয়ে মোড়ানো বাতাসের তৈরি টর্নেডোর ফলে এমনটা হয়। এটাকে Water Spout বা জলস্তম্ভ বলা হয়। বাংলাদেশে এটি ‘মেঘশূর’ নামেও পরিচিত।

সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এই টর্নেডোর ভেতরে ঘূর্ণনের শক্তি ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার হতে পারে। কেউ যদি এর মধ্যে পড়ে যায়, তবে উড়িয়ে নিতে পারে।টর্নেডো বিষয়ক তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, টর্নেডো মানে ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক দুযোগ। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে যখন টর্নেডো হয়, তখন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। টর্নেডো মূলত বাতাসের তাণ্ডবে প্রবলবেগের গতির শক্তিতে ক্ষতি করে।