মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার গ্রাম্য মুরব্বীদের বাধায় ঘর ছাড়া নবদম্পতি জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় ঘরে ফিরেছে।
বিয়ে করেও গ্রামের মুরব্বীদের বাধায় বাড়ি ফিরতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিকার ছেয়ে সহযোগিতা চায় নবদম্পতি।
এছাড়াও ওই নবদম্পতি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সাথে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিষয়টি নিম্পত্তি করে পুলিশের একটি টিম গতকাল বুধবার বিকেলে ওই নবদম্পতিকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
ফিরে নবদম্পতি পলি আক্তার ও ইমন মিয়া বলেন, সমাজপতিদের ভয়ে আমরা আত্মগোপনে ছিলাম। আমরা বাড়ি ফিরেছি, সমাজ আমাদেরকে মেনে নিয়েছে, আমি পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপার কাগাবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা বলেন, নবদম্পতি তাদের বাড়ি ফিরেছেন। গ্রামের সব পক্ষকে নিয়ে মডেল থানায় বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়। সেখানে সবাই একমত হয়েছে, তাদের সংসারে কেউ বাধা দেবেন না।
মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, সমাজের সবাই তাদের মেনে নিয়েছেন। বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধান হয়েছে। উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়ার সাথে গত ১৯ মার্চ সাতবাক গ্রামের পলি আক্তারের বিয়ে হয়। ধর্মীয় বিধান মেনে চার লাখ টাকা কাবিন নির্ধারণ করে নিকাহনামা রেজিস্টারের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় মুরব্বিরা। তাদের দাবি, প্রথা অনুযায়ী মৎস্যজীবী পরিবারের সঙ্গে বাইরের কারো বিয়ে হয় না। গত ২৫ মার্চ পলি আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট করলে বিষয়টি জানাযানি হয়। পরে দম্পতি জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে বিষয়টি সুন্দর নিস্পত্তি হয়।