নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সিলেটে গ্রেফতারকৃত প্রজন্মলীগ নেতা মাঃ ছুরত আলীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৩শে ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানা পুলিশ বিস্ফোরক মামলায় [নং-২১(৮)২৪] তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অচিরেই তাকে রিমান্ড নেওয়া হবে। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানার অপর বিস্ফোরক মামলায় [নং-১৮(১১)২৪] গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি (তদন্ত)।
গত রোববার (২২শে ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ ভবনের সামনে গণপিটুনি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোঃ ইবাদুল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলন পরবর্তী প্রায় ডজন খানেক মামলার পলাতক আসামী মোঃ ছুরত আলীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর থানার রহমতপুর গ্রামে। সে ঐ গ্রামের মৃত ইসমাইল আলীর পুত্র।
রাজনীতিতে সে বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ সিলেট মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
ছুরত আলী নিজেকে আঞ্চলিক ৫টি পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক দাবি করে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে জেলা পরিষদের সামনে চাঁদা আদায় নিয়ে হকারদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হকাররা তাকে ধরে গণপিটুনী দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
ছুরত আলীর বিরুদ্ধে এসএমপি’র বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ ধারায় দায়ের করা উল্লেখযোগ্য মামলাগুলোর মধ্যে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং-২১,তাং ২৩.০৮.২০২৪; এই মামলার ছুরত আলী ১২ নং এজাহারনামীয় আসামী।
সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১৮, তাং ১২.১১.২০২৪; এই মামলায় ছুরত আলী ২৩ নং এজাহারনামীয় আসামী। এসএসমপি’র মোগলাবাজার থানার মামলা নং ১১, তাং ২৩.০৯.২০২৪; এই মামলায় ছুরত আলী ৫৮ নং এজাহারনামীয় আসামী।
এছাড়াও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে ৩টি সিআর মামলা থানা পুলিশ ও পিবিআই’র তদন্তাধীন রয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনেও আরও দুটি পিটিশন মামলা পিবিআই ও সিআইডি’র তদন্তে আছে।