শতবর্ষের অভিজ্ঞতা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেঃ ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। হবিগঞ্জ জেলা তথা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে শতবর্ষের ঐতিহ্য লালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাতেগোনা। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষের অভিজ্ঞতা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে আমরা প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবনের নানা দিকের অভিজ্ঞতা নতুনদের জন্য একটি শিক্ষনীয় বিষয়। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।’ গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে হবিগঞ্জ জেকে এন্ড এইচকে হাইস্কুল ও কলেজের শতবর্ষপূর্তি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী পূণর্মিলনী উদযাপন পরিষদের এক প্রস্তুতিসভায় তিনি একথাগুলো বলেন। এসময় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা ও প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রসংসদের প্রাক্তন ভিপি ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন। তিনি শতবর্ষপূর্তি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী পূণর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর হাতে রেজিস্ট্রেশন ফরম তুলে দেন। এসময় তাঁকে উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে। আমি আমার ক্লাসের ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলাম। বলা যায় নেতৃত্বের শুরু সেখান থেকেই। আমাদের স্কুল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল লীগে রানার্স আপ হয়েছিল। আমরা সেই স্বর্ণময়যুগের শিক্ষার্থী। আমরা সবাই শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং আমাদের শিক্ষক, অনুজ-অগ্রজদের সাথে মিলিত হতে উন্মুখ হয়ে আছি। প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরো বলেন, এই স্কুলের প্রাপ্ত ছাত্র দেশের জাতীয় নেতা ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবনকে নিয়ে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গর্ব করে। তাঁর মতো অন্যান্য প্রাক্তন মেধাবী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের সভাপত্বিতে এবং উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শফিকুর রহমান সিতুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এমজি মুহিত, অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, মনসুর আহমেদ, মোহাম্মদ বাবুল মিয়া, লায়ন মোহাম্মদ লিটন মিয়া, সালেক আহমেদ, শ্যামল আহমেদ, আনসার আহমেদ পলাশ, মহিবুল আলম জীবন, সাংবাদিক নূরুল হক কবির, ওয়াসিম উদ্দিন, ডাঃ মোঃ ইমন, আমিনুর রহমান বাপ্পি, মোজাম্মেল হোসেন জুমন, রবিন চৌধুরী, শেখ লিটন, রাজিব গোপ, জাহিদুর রহমান সৌরভ, আরিফুল ইসলাম নাঈম, আরাফাত মাহমুদ রাহি, বাইজিদ আহমেদ সাকিব, আবু নাসের মোঃ সামি, আরিফুল রিফাত, সাফায়েত, রাহিম, সাদিয়া, মেহরিন, সানজিদা, প্রমুখ।