সোলেমান আহমেদ মানিক-মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
লাল সবুজের পতাকা নিয়ে কাতার ‘ওরিদো/২৩ বাই দোহা ম্যারাথন’ এ ৫ ঘন্টায় ৪২ কি.মি. ফিনিশার হলেন বাংলাদেশের যুবক কে.এম. সুহেল আহমদ (রেংকিং-২২২)। ভিন্ন বিভাগে অপর দুই বাংলাদেশী ফিনিশার হলেন, হোসাইন আলী ২ ঘন্টা ১৩ মিনিটে ২১ কি.মি. (হাফ ম্যারাথন) ফিনিশার মেডেল (রেংকিং-৭০২) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মুন্না ১০ কি.মি. ফিনিশার মেডেল (রেংকিং-৩৩১) অর্জন করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনাঢ্য দেশ কাতারের মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানী ওরিদো ২০ জানুয়ারি/২৩ ইং ১১তম ম্যারাথন প্রতিযোগীতার সবচেয়ে বড় এই ইভেন্টটি আয়োজন করে।
কাতার অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের আয়োজনে ১১তম প্রতিযোগীতায় অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে নির্বাচিত সকল বিভাগের প্রায় ৮ হাজার দৌড়বিদদের জন্য উপহার হিসেবে কাতারী প্রায় ১ মিলিয়ন প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।
প্রতিযোগীতায় আন্তর্জাতিক অন্যান্য দৌড়বিদদের সাথে তিনটি বিভাগে তিনজন বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করলেও লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে একমাত্র বাংলাদেশী প্রতিযোগী হিসেবে ৪২ কি.মি. ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে ফিনিশার মেডেল অর্জন করেন কাতার প্রবাসী কে.এম.সুহেল আহমদ। এর আগেও দোহা ওরিদো ম্যারাথনে যথাক্রমে ২০১৯ ইং ২১ কি.মি. (হাফ ম্যারাথন) ও ২০২০ ইং সালে ৪২ কি.মি.(ফুল ম্যারাথন) ফিনিশারের মেডেল অর্জন করেন।
কে.এম.সুহেল সিলেট গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউপি’র বন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ‘লেখক-সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন কাতার’র ক্রীড়া সম্পাদক ও অনলাইন নিউজপোর্টাল সিলেট মিডিয়া ডটকম’র কাতার প্রতিনিধি।
জানা যায়, ‘ওরিদো দোহা ম্যারাথন’ প্রথম ২০১৩ইং সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি বর্তমানে দোহার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলেটিক অনুষ্ঠান। কাতারের লোকেরা এই চলমান ইভেন্টের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এবং দৌড় দেখার জন্য রাস্তায় মিছিল করে। যে সকল অংশগ্রহণকারীরা তাদের বিভাগগুলি শেষ করে পদক পায়, তাদের প্রাপ্য পদকের সমস্ত অর্থ কাতারের বিভিন্ন স্থানীয় দাতব্য সংস্থায় অনুদান হিসাবে বিতরণ করা হয়।