ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
জামালপুরে মুখোশ পরে গভীর রাতে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে কম্বল বিতরণ করছে জেলা ছাত্রলীগ। গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বির “নাফিন রাব্বি’ ফেইসবুক আইডি থেকে কম্বল বিতরনের ভিডিও পোস্ট দেওয়া হয়।
ধারণ করা হচ্ছে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ জেলা শহরে নানা কর্মসূচি পালন করলেও ভূমিকা রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। সেই ভিডিও ক্যাপশনে লেখা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জামালপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া প্রার্থনা।
এক মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একজন নেতা এক মধ্য বয়সী নারীর হাতে কম্বল তুলে দিচ্ছেন। সেই সময় ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোয়ার জন্য কম্বল দিলাম। জননেত্রীর পক্ষ থেকে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নেত্রীর জন্য দোয়া করবেন। পরে কম্বল বিতরণকারী নেতা ওই মধ্য বয়সী নারীকে প্রশ্ন করেন, আগের সরকার ভালো ছিল না, শেখ হাসিনা সরকার ভালো ছিল না..? তখন ওই নারী বলেন,’এমন সরকারই কল্পনা করি। এখন পর্যন্ত কল্পনা করছি। পরে আরেকজন নারীকে কম্বল দেয়।
তখন ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়,’ ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে জননেত্রীর দোয়ার জন্য নেত্রীর পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করলাম। পরে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শেষ করেন।’
ভাজ করা কম্বলের ওপরে ছাত্রলীগের লোগো সম্বলিত সাদা কাগজে প্রিন্ট করে লেখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখা।
গোপনে কথা হয় জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বির সাথে। তিনি জানায়, কালকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ৫০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কম্বল বিতরণ প্রক্রিয়াটা আমার কাছে মনে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলার অবনতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি ঠিকঠাক থাকতো তাহলে তারা কম্বল বিতরণ করতে পারতো না। এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফিলতি বলে আমি মনে করবো।’
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো.আতিক বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’