বাংলাদেশ প্রতিক্ষণঃ
বন্যাকবলিত সিলেট-সুনামগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের খাদ্য সাহায্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এবার এ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট।
২৫ ও ২৬ জুন দুই দিনে ফায়ার সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন স্থানে ৭৫০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। এসব এলাকার মধ্যে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর, পান্ডারখাল, পূর্ব মাছিমপুর, মাঝিরগাঁও, নইনপুর, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার লোকদের কোথাও একত্রিত করে একস্থানে আবার কখনো ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেয়া হয়। প্রতি প্যাকেট খাদ্যসাহায্যের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, খাওয়ার পানি ইত্যাদি।
ফায়ার সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি, জি, এমফিল মহোদয়ের সদয় নির্দেশনায় ফায়ার সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. কর্ণেল এস এম জুলফিকার রহমান (অব.), বিএসপি, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স বন্যাদুর্গত এলাকা ঘুরে ঘুরে এই খাদ্য সাহায্য বিতরণে নেতৃত্ব দেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান, সুনামগঞ্জ জেলার উপসহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য সাহায্য বিতরণের একপর্যায়ে লে. কর্ণেল এস এম জুলফিকার রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বৃহত্তর সিলেট বিভাগের সিলেট-সুনামগঞ্জে যে বন্যা তার সাফারিংটা দেখলাম। বিভিন্ন এলাকায় এই সাফারিং চলছে। আমরা অনেকে খাদ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছি। সরকারিভাবে অনেকে এগিয়ে এসেছেন, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকেও বিভিন্নভাবে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চালু রয়েছে। আমরাও ফায়ার সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মাধ্যমে খাদ্য সাহায্য নিয়ে এসেছি, সেটি বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করছি ও করবো। এছাড়া বন্যার শুরু থেকেই ফায়ার সার্ভিস খাদ্য সাহায্য নিয়ে বন্যাকবলিতদের পাশে রয়েছে।’
লে. কর্ণেল এস এম জুলফিকার রহমান গণমাধ্যমে আরো বলেন, ‘আমাদের ট্রাস্টের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা এখানে আছি। যেখানে এখনও খাদ্য সাহায্য পৌঁছেনি, আমরা সেই এলাকায় খাদ্য সাহায্য নিয়ে যাচ্ছি। তবে এই খাদ্য সাহায্য শেষ নয়, আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন, বন্যায় বিদ্যুতের পাওয়ার স্টেশনগুলো পানিতে নিমজ্জিত ছিল। সেখান থেকে পানি সেচে ফায়ার সার্ভিস এসব মূল্যবান সম্পদ রক্ষা করেছে। সরকারি খাদ্যগুদামে পানি থেকে খাবারগুলো রক্ষাসহ বিভিন্ন কাজ করেছে, যা আমাদের অব্যাহত থাকবে।