ডেস্ক রিপোর্টঃ
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার
(২২ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা এবং একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য। মৃত্যুকালে ফজলে রাব্বী মিয়া তিন মেয়ে রেখে গেছেন। ২০২০ সালে তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮৯ সালে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় হুইপ ছিলেন। নবম সংসদে ফজলে রাব্বী সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি, কার্য উপদেষ্টা কমিটি, কার্য প্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দশম সংসদে ডেপুটি স্পিকারের চেয়ারে বসেন ফজলে রাব্বী মিয়া।
সংসদেও টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়াদে ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এসময় তিনি কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও পিটিশন কমিটির সদস্য এবং লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি ছিলেন।
উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, “জনাব ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আমরা একজন দলীয় নিবেদিত ব্যক্তিকে হারালাম। তিনি আমাদের জাতীয় সংসদের বটবৃক্ষ হিসেবে ছিলেন।
তিনি পুরো জাতির সম্পদ ছিলেন। উনার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গিয়েছেন।
উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি মৃতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং উনার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।