‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : সিলেটে গ্রেফতার আরও ৯ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক::

বিগত ৫ই আগস্টের আগে-পরে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে গেছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা।

পদবীধারী সিলেটের স্থানীয় নেতাদের বেশিরভাগ ভারত-দুবাই-যুক্তরাজ্যে-যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার মাঠিতে। সেখানে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানীমুলক পোস্ট করছেন সমানতালে।

সেই সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের কলকাটি নাড়ছেন। অনেকে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্য হাতে তুলে দিচ্ছেন বিএনপির পদবীধারী নেতাদের বগলে।

 

এরকম অবস্থায় সিলেটে অবস্থানরত আওয়ামীলীগ অনুসারী ছোট পদপদবীর নেতারা পড়েছেন বেকায়দায়।

 

এতোদিন নিজদের গা-বাঁচিয়ে চললেও ‌’অপারেশন ডেভিল হান্ড’ এখন আতংক ছড়াচ্ছে তাদের। এর মধ্যে গ্রেফতার হচ্ছেন অনেকে।

সিলেটে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’এ গত সোমবার (১০ই ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১১ই ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত পৃথক অভিযানে আরও ০৯ জনকে আটক করেছে সিলেট মেট্রাপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী, বিমানবন্দর ও দক্ষিণ সুরমা থানা।

 

আটককৃতদের সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পদবীধারী নেতা। সোমবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদেরকে।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেট নগরীর কাজলশাহ ব্লক ডি-এর ৮৮ নং বাসার মৃত ইছল মিয়ার ছেলে ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব হাজারী (৬২),

একই বাসার আব্দুল হকের ছেলে ও ৩ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান কবির (২৯),

ছড়ারপার এলাকার ৭৬ নং বাসার মৃত আব্দুল মুকিতের ছেলে ও ১৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিনহাজ ইসলাম সৌরভ (২৬),

রায়নগর দর্জিপাড়া বসুন্ধরা ৮৭ নং বাসার মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে ও ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক ফজলুর রহমান রনি (৩৭),

 

পশ্চিম পীরমহল্লার ১৪১ নং বাসার মিয়াধন খানের ছেলে ও ৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হাসেম খান,

 

শাহপরাণ থানাধীন মেজরটিলার জাহানপুর আবাসিক এলাকার মৃত আয়ান উদ্দিনের ছেলে ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৩৫ নং ওয়ার্ড শাখার সদস্য ইয়ামিন আহমদ (২৪),

 

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার ইউনিয়নের কুড়িগ্রামের মৃত মুক্তার আলীর ছেলে ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আফরোজ (৬০),

 

দক্ষিণ সুরমার বড়ইকান্দি ১নং রোড এলাকার মো.লিলু মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি জাহেদ আহম্মদ (৪২),

ও এয়ারপোর্ট থানাধীন পিরের গাঁও এলাকার বামোদ পীরের ছেলে নাজিম উদ্দিন সবুজ (২৫)।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এর আগে গত রোববার (৯ই ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে গত সোমবার (১০ই ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।