সিলেট ওসমানী হাসপাতালের দূর্নীতিবাজ নার্স আছমা আলহারামাইন হাসপাতাল থেকে বহিস্কার

 

স্টাফ রির্পোটার::

সিলেট ওসমানী হাসপাতালের আলোচিত ও বির্তকৃত নার্স আছমা আক্তারকে অবশেষে সিলেট আলহারামাইন হাসপাতাল প্রা: লি: থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গত ২৩শে ডিসেম্বর আছমাকে আল হারামাইন হাসপাতাল থেকে বরখাস্ত করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করে।

 

হাসপাতালে অফিস আদেশ কপি স্বারক নং ((AHHPL/ADMN/24/-62) তারিখ-২৩/১২/২০২৪ ইং। সূত্রে জানা যায়, গত-২১শে ডিসেম্বর মোছা: আছমা আক্তার (নার্সিং সুপারভাইজার) কে স্বীয় দায়িত্বের অনৈতিক ব্যবহার ও আর্থিক দূর্ণীতির কারনে আল হারামাইন হাসপাতালের চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

এমতাবস্থায় মোছা: আছমা আক্তার এর সহিত কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন ও যোগযোগ না রাখার জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষ কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন। আদেশ কপিতে স্বাক্ষর করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা: নাহিয়ান আহমদ চৌধুরী পরিচালক( মেডিকেল সার্ভিসেস)।

এদিকে সরকারি চাকরির বিধান রয়েছে, কোন ব্যক্তি সরকারি চাকরিজীবি অন্য কোথায় চাকরি করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু নার্স আছমা আক্তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের একজন সরকারি নার্স হয়েও হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে সিলেট আলহারামাইন হাসপাতালে দীর্ঘদিন চাকরি করেন।

 

যা সরকারি বিধান ১৯৭৯ এর পরিপন্তি কাজ করেছেন, এবং সরকারি চাকরির বিধান লঙ্গণ করেছেন ফলে তিনি ওসমানী হাসপাতালের নার্সের চাকরির বৈধতা হারিয়ে ফেলেছেন।

এদিকে আছমা আক্তার নিজেই জনৈক ব্যক্তির কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলেছেন, তিনি আল হারামাইনে চাকরি নিতে কতৃপক্ষের কারোরই অনুমতি নেননি। সেখানে তিনি নার্স সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি ওসমানী হাসপাতালে সরকারি চাকরিও চালিয়ে গেছেন।

আলহারামাইন থেকে চাকরি গেলেও তার কোন অফসোস নেই। তিনি যা কামাই করেছেন তা অনেক। পরে আল হারাইমাইন হাসপাতালে কর্মরত কয়েকটি ছেলে-মেয়ের চাকরি বাচাঁতে তিনি নিজের উপর সকল অপরাধের দায় নিয়েছিলেন।

 

ফলে তাকে চাকরি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে আল হারামাইনের একজন নার্স অভিযোগ করেন আসমা আক্তার নিজেকে হাসপাতালের সর্বচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করছেন।

 

চাকরি কালে অনেকের সাথে বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে বির্তকের জন্ম দিয়েছেন। যা তদন্ত করলে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসবে। নার্সিং এর একটি সূত্র জানিয়েছে, নার্স আছমা আক্তার প্রথমে সরকারে কাছে তথ্য গোপন করে সরকারি আচরন বিধি ভঙ্গ এক সাথে দুটি চাকরি করেছেন, এবং সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন।

নার্স আসমা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আছমা আক্তার ওসমানী হাসপাতালের প্রভাবশালী একজন সরকারি স্টাফ নার্স।

 

তিনি ওসমানী হাসপাতালের পাশাপাশি আবার চাকরি করতেন বেসরকারী হাসপাতাল আলহামারাইন প্রাইভেট লিমিটেড হাসপাতালে। তিনি ঐ হাসপাতালের নার্স সুপারভাইজার(ইনচার্জ) পদে চাকরি করতেন।

 

তিনি ঐ বেসরকারী হাসপাতাল আলহারামাইন এ চাকরি নেন হাসপাতালে মালিক মাহতাব উদ্দিনকে ম্যানেজ করে। আসমা নিজেকে একজন আওয়ামী লীগ সর্মথক পরিচয় দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি টি নিয়ে ছিলেন।

 

ওসমানী হাসপাতালে নার্স হলেও তিনি হাসপাতালে একমাত্র সকাল সিফটের ডিউটি করতেন। বাকি দুই সিফটে তিনি কোন রকম ডিউটি করতেন না। কিন্তু সরকারি নিয়ম হলো তিন সিফটে পৃথক ভাবে ডিউটি করতে হবে। আছমা এসব সম্ভব করেছেন হাসপাতালের  মেট্ট্রোন রিনা বেগম কে ম্যানেজ করে।