স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে পাখি শিকার এবং পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে হাওর এলাকায় গণসচেতনতা তৈরিতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউড়ায় সচেতন এলাকাবাসী উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলানিউজের ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এবং পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ওয়াইল্ডলাইফ জুনিয়র স্কাউট মো. তাজুল ইসলাম এবং সুব্রত সরকার, এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাছরাঙা সমবায় সমিতির সভাপতি রোকাম উদ্দিন, সমাজসেবক তাহির মিয়া, বড়গাঙ্গিনা সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের সাবেক সভাপতি পিয়ার আলী, ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া প্রমুখ।
পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন বলেন, পাখি শিকারের বিরুদ্ধে সচেতনা তৈরির পাশাপাশি এখন হাওরবিল শুকিয়ে যাবার ফলে হঠাৎ হঠাৎ কচ্ছপ পাওয়া যায়।
মৎস্যজীবীরা এগুলো ধরে সনাতন সম্প্রদায়ের কারো কারো কাছে বিক্রি করে থাকেন। আমরা যদি বিলুপ্তিপ্রায় কচ্ছপ প্রজাতিটির রক্ষায় এ বিষয়েও সচেতনতা তৈরি করতে পারি তাহলে এটি বিল থেকে আহরণ করা এবং বিক্রি অনেকটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির সম্পদ। দেশের সম্পদ। পাখিরা বেঁচে থাকলে আমাদের প্রকৃতি সুরক্ষিত থাকবে। তাই যে কোনো মূল্যে পাখিদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শীতকালে আমাদের দেশে পরিযায়ী পাখিরা আসে। তাদের কলকাকলিতে মুখর হয় আমাদের প্রকৃতি। এই সৌন্দর্যকে ধ্বংস করে দিতে যারা পাখি শিকার করে, পাখি হত্যা করে তাদেরকে আইনত দন্ডনীয় এ কাজটি থেকে নিজেকে অবশ্যই বিরত রাখতে হবে। নয়তো আমরা তাকে বা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। পাখির মাংসে স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাখি শিকারীরা যেসব বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রবাদি দিয়ে পাখিশিকার করে সেগুলো সেসব শিকারকৃত পাখির মাংস খাওয়াও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। ওই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের বিষ পাখিটির শরীরে প্রবেশ করে। তখন মানবদেহ প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সুতরাং শখের বসে পাখির মাংস খেয়ে নিজের চরম বিপদ ডেকে আনা নিতান্তই বোকামী। হাওর-বিল এলাকায় পরিযায়ী পাখিদের সংরক্ষণ এবং স্থানীয় পাখিশিকারীদের ধরতে পাখিপ্রেমী সচেতন এলাকাবাসী আন্তরিক সহযোগিতাটুকু প্রত্যাশা করেন বলে জানান এসিএফ জামিল মোহাম্মদ খান।