# চিকিৎসক সমাজের সক্রিয় অংশ্র গ্রহণের ফলে গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে : খন্দকার মুক্তাদির
# দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়া দূরদর্শী অবদান রেখেছিলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক :বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন। যার সুফল আজও বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছেন। শহীদ জিয়ার ঐতিহাসিক ১৯ দফার মধ্যে ১০ দফা হল ‘দেশবাসীর জন্য নূন্যতম চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা’ যা তিনি বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। স্বাধীনতার পরপরই অপুষ্টি, জন্মহার বৃদ্ধি, গুটি বসন্ত, ডায়রিয়া, কলেরা ও অন্যান্য জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবে জনস্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পরেছিল যার প্রতি দ্রুত মনোযোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়া। বাংলাদেশে কার্যকর উদ্যোগের ফলে ১৯৯১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ‘টিটেনাস টিকা’ কর্মসূচী গ্রহণ করে।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার ও পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হওয়া ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা সেবা প্রধানে যে সকল হাসপাতাল ও চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা অবদান রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। স্বৈরাচারের নির্যাতনে তারা পেশাগত দায়িত্বের কথা ভুলে না গিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত বিএনপি ও বিরোধী দলের বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীদের সাহসীকতার সহিত চিকিৎসা প্রদান করেছেন। তারাই এক মাত্রা সাহসী যুদ্ধা। চিকিৎসক সমাজ এদেশের সচেতন নাগরিক। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের আত্মত্যাগ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ যেমন আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল। তেমনি এ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসক সমাজ ও মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। যার ফলে ডা. সজীবসহ একাধিক চিকিৎসক শহীদ হন এবং আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
তিনি শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত-আহতদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইবনেসিনা হাসপাতাল, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মাউন্ড এডোরা হাসপাতালকে ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও সিলেট জেলার সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল আহমদ মুর্শেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন ইবনেসিনা হাসপাতালের চীফ মেডিকেল অফিসার মেজর (অব.) আব্দুস সালাম, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তাফহীম আহমদ রিফাত, মাউন্ড এডোরা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তানভীরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে নার্সদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শুভ চন্দ্রশীল, আয়শা সিদ্দিকী প্রিয়া, টিম লিডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম, অবিভাবকদের পক্ষ থেকে মুক্তার আহমদ।
বিএনপি নেতা আব্দুল মালেকের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মতিউল বারী খুর্শেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, মাউন্ড এডোরা হসপিটালের রেজিষ্টার ডা. রায়হান আহমদ, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আফজাল উদ্দিন, আবুল কালাম, ওয়ার্ড সভাপতিদের মধ্যে থেকে মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, আব্দুর রহিম মল্লিক, শুয়াইব আহমেদ শোয়েব, মনজুরুল হাসান মঞ্জু, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, খায়রুল ইসলাম খায়ের, তারেক আহমদ খান, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মোঃ নাজিম উদ্দীন, মিজান আহমদ, কাজী মুহিবুর রহমান মুহিব, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে থেকে মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ, সাব্বির আহমদ, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, আব্দুল মালিক সেকু, রুবেল বক্স, মিনহাজ পাঠান, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, আলমগীর হোসেন, নাজির হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি ।