নিজস্ব প্রতিবেদক :
খুলনা সদর থানার সাবেক এএসআই মোহাম্মদ মিরান শেখ বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি থানার কর্মরত ছিলেন। সাতক্ষীরা জেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর ছেলে মেহেদী হাসানকে পুলিশ টেনিং সেন্টার খুলনা বাবুর্চি পদে চাকরির দেওয়ার কথা বলে তার নিজ নামীয় ব্যাংকে মোট ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং পিটিসি খুলনার নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে পিটিসির খুলনা সাধারণ শাখার ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় সকল কাগজপত্র ভুয়া উক্ত বিষয়ে পুলিশের আইজি বরাবর আবেদন করেন ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে তদন্ত ভার দেয়া হয় মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে।
তদন্ত-পূর্বক ঘটনা সত্যতা পাওয়ায় গত ১৩-৩-২৩ ইং মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া কর্তৃক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এএসআই মোঃ মিরান শেখ সুশৃংখল পুলিশ বাহিনীর সদস্য হয়ে চাকরি দেয়ার নামে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ব্যাংক হিসাব এর মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ এবং ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে সরবরাহ করার ন্যায় গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়াও অনুসন্ধান আরো জানা যায় এএসআই মিরান শেখ প্রতাপ চন্দ্র রায় লিটনের কাছ থেকে এজি অফিসে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তাছাড়াও তিনি অনেক লোককে চাকরির প্রভোলন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
উক্ত বিষয়ে এএসআই মিলনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাহার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।