সোলেমান আহমেদ মানিক, মৌলভীবাজার –
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের পৃথক দুটি বিশেষ অভিযানে ১৭৫ পিছ ইয়াবাসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানা সুত্রে জানা যায়, রবিবার (৫ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, শ্রীমঙ্গল শহরের নতুন বাজার থেকে একজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্যসহ রিকসা যোগে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী এলাকায় যাচ্ছে। এ সময় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সুব্রত চন্দ্র দাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোডের স্টাইলাস রেস্টুরেন্টের সামনে রিকসার গতিরোধ করে। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টাকালে জাভেদ মিয়াকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করলে তার পরনের জিন্স প্যান্টের বাম পকেট থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২৫ পিস গোলাপি রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। সে শ্রীমঙ্গল শহরের জোড়াপুল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে। সে সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার পুর্ব ইছাপুর গ্রামের মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে। জাবেদ মিয়া একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে মর্মে জানা যায়।
অপর আরেক অভিযানে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার’রদিক নির্দেশনায় এসআই মোঃ জামাল উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় রবিবার রাতে উপজেলার ০১নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ছাত্রাবট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে ১৫০ (একশত পঁঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ পারভেজ মিয়া, পিতা-মোঃ রাজা মিয়া, সাং-দিশালোক, ০৬নং একাটুনা ইউপি, থানা-মৌলভীবাজার সদর ও মোঃ চাঁন মিয়া, পিতা-মৃত আমীর আলী, সাং-ছাত্রাবট, থানা-শ্রীমঙ্গল, উভয় জেলা-মৌলভীবাজার’দ্বয়কে গ্রেফতার করেন। আসামী পারভেজ মিয়ার নামে ইতি পূর্বের একটি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আসামী চাঁন মিয়াও একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় ব্যপক পরিচিত।
উক্ত বিষয়ে অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য নিজ হেফাজতে রাখায় আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়, পরবর্তীতে যথাযথ আইনি পক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, শ্রীমঙ্গলকে মাদক মুক্ত করনের লক্ষ্যে থানা পুলিশের মাদক বিরোধ অভিযান অব্যাহত আছে এবং তা থাকবে। তিনি প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।