মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
৬০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার কথাবলে দালাল চক্র মনির হোসেন কে বিদেশে নিয়ে যায়।
মনির সংসারের চাকা সচল রাখতে মানুষের কাছ থেকে ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেয় আশিদ্রোন ইউনিয়নের জামশী তপশীপাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ওমান প্রবাসী মো. দুলাল মিয়া ও আফজল মিয়াকে।
গত জানুয়ারি মাসে মনির ওমানে গেলেও তাকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা বেতনের কাজ ও কোনো ধরণের সহযোগিতা করেনি প্রবাসী দুলাল মিয়া। বর্তমানে মনির ওমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মনিরকে বিদেশে পাঠানোর জন্য করা ঋণের চাপে তার পরিবার এখন দিশেহারা।
মনিরের স্ত্রী নাছিমা বেগম ৩ সন্তান নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার এলাকায় বিচার-সালিশ বসলেও হয়নি কোনো সুরাহা।
পরে মনিরের স্ত্রী নাছিমা কুদ্দুসের ছেলে ওমান প্রবাসী মো.দুলাল মিয়া, আফজল মিয়া ও কাউছার মিয়ার নাম উল্লেখ্য করে তার স্বামীকে বেশি বেতনের প্রলোভন দিয়ে বিদেশে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মনিরের স্ত্রী নাছিমা জানান, সালিস ও লিখিত অভিযোগ করার পর দুলাল গং তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।
তিনি মনে করেন যেকোনো সময় দালাল চক্র তাদের উপর হামলা করতে পারে।
তিনি আরো জানান, তার ৩টি শিশু সন্তান ও ব্যাংকের ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে কঠিন সময় পার করছেন। এ অবস্থায় বেশিদিন চলতে থাকলে ঋনের যন্ত্রণায় তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবেনা।
নাসিমা বলেন, দালালরা আমার ও স্বামীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা করে আমার সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি আমার দেওয়া টাকা ও আমার স্বামীকে ফেরত চাই। আমার স্বামীর আকামা না থাকায় অবৈধ ভাবে প্রবাসে বসবাস করছে। কোনো টাকাও রোজগার করতে পারছেনা।
আমি শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আশাকরি মামলা রুজু করে দালাল চক্রের সকলেকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করবে প্রশাসন। আমার স্বামীকে দেশে আনা বা সেখানে আকামা দিয়ে একটি সুব্যবস্থা করতে তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।