নূর মোহাম্মদ সাগর শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক তরুণী মাথা গোঁজার ঠাই নেই, ঘর- সংসারও নেই জানা যায় সুযোগ পেলে ঘুমান শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন ।
গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে চুমকি নামে (বয়স আনুমানিক) ২৪/২৫ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী প্রসব বেদনায় শ্রীমঙ্গল শহরতলী পুরান বাজার রাস্তার উপর বৃষ্টির মধ্যে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন গর্ভবতী নারীটি ।
খবর পেয়ে দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির। সেখান থেকে গর্ভবতী নারীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নিজ দায়িত্বে ভর্তি করেন এবং গর্ভবতী নারীর দেখাশোনা করার জন্য নিজ অর্থায়নে আরেকজন নারীর ব্যবস্থাও করেন তিনি।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নতুন কাপড় ও যাবতীয় ঔষধের ব্যবস্থা করে দেন মানসিক ভারসাম্যহীন গর্ভবতী তরুণী চুমকির জন্য। মানবতা আজও বেঁচে আছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ তা আবারো প্রমাণ করলেন।
এর আগে করোনা কালীন সময়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছানো সহ বহু মানবিক কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় চুমকির কোল জুড়ে এখন ফুটফুটে এক ছেলে নবজাতক। পুলিশের এই মানবিক কাজের মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী সুন্দর এক ছেলে সন্তানের মা। যদিও সে পাগল তবুও সন্তানের মুখ দেখে আনন্দে আত্মহারা চুমকি। চুমকি সন্তানকে নিয়ে এখন সুস্থ আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আবার অনেকেই বলতেছেন – মানবিকতার আরেক নাম শ্রীমঙ্গল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির সবাই উনাকে মানবতার জয় হোক, ধন্যবাদ, স্যালুট, জানাচ্ছেন আবার কেউ কেউ বলেন অনেক মানুষ আছে যারা পুলিশের দোষ খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু এখনো সমাজের অধিকাংশ মানবিক কাজগুলি পুলিশরাই করেন। তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির।
আজ এই পুলিশ ভাইদের সহযোগিতা ও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় মা ও নবজাতক শিশু ফিরে পেলেন এক নতুন পৃথিবী। মানবিক এ কাজে ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরকে সহযোগিতা করেছে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ও এএসআই ইলিয়াস উদ্দিন সোহেল, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার আজাদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বগত চিকিৎসকগণ।