ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান আর নেই। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্না…রাজিউন)। গণমাধ্যমকে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে সংগীত পরিচালক আরমান খান।
বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরমান খান লিখেছেন, ‘আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
আজ বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে। ’
নাটক-সিনেমার গুণী শিল্পী শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুর দিনেই আরেক তারকার জীবনাবসান ঘটল। শর্মিলীর শোকের মাঝেই সংস্কৃতি অঙ্গনে এলো আরও এক শোকের খবর।
‘ওরে নীল দরিয়া, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস, আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা, তুমি যেখানে আমি সেখানে, সবাই তো ভালবাসা চায়’ এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন আলম খান।
এন্ড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা, কনক চাপা, মনির খানদের মতো খ্যাতিমান গায়ক-গায়িকারা তার লেখা গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে তাকে বলা হয় সুরের জাদুকর। তার সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী। পপসম্রাট আজম খানের বড় ভাই আলম খান। ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাথি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সংগীতজ্ঞ আলম খানের পুরো নাম খুরশিদ আলম খান। পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। মায়ের নাম জোবেদা খানম। গুলবানু খানের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে আরমান খান ও আদনান খান এবং এক কন্যা আনিকা খানের জনক তিনি।
১৯৭০ সালে আবদুল জব্বার খানের ‘কাঁচ কাটা হীরে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হয় আলম খানের। তারপর অসংখ্য ছবির সংগীত পরিচালনা করেন। সৃষ্টি করেন একের পর এক শ্রুতিমধুর এবং জনপ্রিয় গান।
আলম খান দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘বড় ভাল লোক ছিল’ (১৯৮২), ‘তিন কন্যা’ (১৯৮৫), ‘সারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘দিনকাল (১৯৯২) এবং ‘বাঘের থাবা’ (১৯৯৯) ছবিগুলোতে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে পেয়েছেন ‘কি জাদু করিলা’ ছবির জন্য।