ডেস্ক রিপোর্ট :
সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বেতন বোনাস প্রদান করা না হলে কালো তালিকাভুক্ত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। একই সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩ জুলাই ২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঈদের আগে সংবাদ মাধ্যমে বেতন-ভাতা পরিশোধ ও পূর্ণ বোনাস প্রদানের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, আমাদের সংবাদ মাধ্যমে কি করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে করোনার অজুহাতে বেতন দিচ্ছে না। উপরন্তু ছাঁটাই করছে। আমরা বার বার মালিক ও সরকারকে বলছি কিন্তু কেউ কর্ণপাত করছে না।
সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রতিটি মাস আসে আর আমাদের সাংবাদিকরা ক্ষতবিক্ষত হন। কারণ আমাদের বেতন কবে হবে আমরা জানি না। ঈদের আগে যে সব প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন ও পূর্ণ বোনাস প্রদান করবেন না তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, আপনারা ঈদের আগেই বেতন-ভাতা ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ করে দিন। আমরা ঈদ উল ফিতরের সময় কারা কারা বেতন বোনাস পরিশোধ করেননি তাদের তালিকা করেছি। এবারো করবো। এই তালিকা কোথায় পাঠাবো সেটা প্রকাশ্যে বলতে চাই না। আপনারা সতর্ক হয়ে যান।
ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবির জন্যও আন্দোলন করতে হয়। সংবাদ মাধ্যম করে সরকারের সুযোগ সুবিধা নেন অথচ সাংবাদিকদের পাওনা পরিশোধ করেন না। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম সমাবেশ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সলিম উল্লাহ সেলিম, রেহানা পারভীন, শফিক বাশার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়া, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আছাদুজ্জামান প্রমুখ।
পরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচার মন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।