বড়লেখায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় দক্ষিণ শাহাবাজপুর ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে। গত সোমবার(০৯ জানুয়ারী) রাত ৯ ঘটিকার দিকে মুহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ জন পদপ্রত্যাশী ছিলেন, ১, বিবেকানন্দ শর্মা, ২,মুরাদ মিয়া,৩,আব্দুর রুফ,৪,খছরুল হক বলাই,৫,সমছ উদ্দিন,৬, ফখর উদ্দিন,৭, জসিম উদ্দিন (দোলা)৮,মাসুক উদ্দিন, ৯,জসিম উদ্দিন,( সিএনজি চালক হিসাবে যিনি পরিচিত)।
সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাউন্সিল অধিবেশনে যখন সভাপতি পদপ্রার্থীদের নামের জন্য আহবান করা হয় তখনই ঔ ৯ জন প্রার্থীর তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় একই পরিবার থেকে সভাপতি পদে ৩জন প্রার্থী সভাপতির পদপ্রত্যাশী যথাক্রমে মুরাদ মিয়া, জসিম উদ্দিন (দোলা) ফখর উদ্দিন। বাকি ৬ জনের মধ্যে আবার অনুসন্ধান করে দেখা যায মাসুক উদ্দিন (সভাপতি পদপ্রত্যাশী) তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নন। এদিকে সভাপতি পদপ্রত্যাশী (সিএনজি চালক হিসাবে পরিচিত) জসিম উদ্দিন তিনিও সরাসরি ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের উপর ৯ জন থেকে ১ জন কে সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য দায়ীত্ব অর্পণ করেন। দায়ীত্ব প্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ মুহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে সবাইকে নিয়ে বসেন আলোচনায়। সভাপতি পদপ্রত্যাশী মুরাদ মিয়ার সাথে আলোচনার সময় হঠাৎ জসিম উদ্দিন (সিএনজি চালক হিসাবে পরিচিত) তিনি হঠাৎ জোরে শব্দ করে বলেন ওনাকে সভাপতির পদ না দিলে তিনি কাউকে সভাপতি হিসেবে মেনে নিবেন না। নেতৃবৃন্দ তাকে বুঝাতে গেলে তিনি বেঞ্চের উপর লাফ দিয়ে উঠে পড়েন এবং অশ্লীল ভাবে ভাষা ব্যবহার করে কথা বলতে থাকলে এক পর্যায়ে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এবং এর ফলে দুই পক্ষের মারামারিতে নেতাকর্মীরা কিছুটা আহত হন।

কাউন্সিল অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর উপস্থিত ছিলেন।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কিছু ক্ষণ পর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা শান্ত করেন। পরে তারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।

অপরদিকে কাউন্সিল সভা শেষে পূর্ব মোহাম্মদনগর বাজারে গিয়ে (সভাপতি পদপ্রত্যাশী) মাসুক উদ্দিন, ফখর উদ্দিন,সমছ উদ্দিন,সামিম আহমদ, (সিএনজি চালক হিসাবে পরিচিত) জসিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে সবাই মিলে সভাপতি পদ প্রত্যাশী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সিনিয়র নেতা বিবেকানন্দ শর্মা এর ফার্মেসিতে গিয়ে হামলা করেন, ও অকথ্য ভাষায় উনাকে মালাউন কাফির বলে গালি দেন, পরবর্তীতে সিনিয়র আওয়ামী লীগের অপর এক নেতা বিবেকানন্দ শর্মা কে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর গণ্যমাধ্যমকে বলেন একটু ভুল বোঝাবুজি হয়েছে এ কারনে দক্ষিণ শাহাবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন কাউন্সিল চলাকালে হামলার অভিযোগে একজন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন,ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।