স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫০৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার তেল, ডাল, চিনি ও গম কিনছে সরকার। এর মধ্যে ১৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার গম কেনা হচ্ছে। সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে ৭৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। আর ১০৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার চিনি এবং ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মসুর ডাল কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানি, যার প্রতি টনের দাম পড়বে ২৮৮ মার্কিন ডলার। সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে, প্রতি মেট্রিক টন ৫৮১ মার্কিন ডলার দরে। সার আমদানি করা হবে রাশিয়া থেকে, প্রতি মেট্রিক টন ২৮৯ দশমিক সাত পাঁচ মার্কিন ডলার দরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার। স্পট মার্কেট থেকে ৪টি উৎসে ৪ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার। পর্যায়ক্রমে প্রতি এমএমবিটিইউ এর দাম ৯ দশমিক সাত পাঁচ, ৯ দশমিক তিন ছয়, ৯ দশমিক চার সাত ও ৯ দশমিক দুই তিন মার্কিন ডলার।
এদিকে সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রতিষ্ঠান গ্রীণফ্লাওয়ার ডিএমসিসির কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মসুর ডাল কেনার দুটি প্রস্তাব এবং সয়াবিন তেল ও চিনি কেনার দুটি পৃথক প্রস্তাব দেয়। চারটি প্রস্তাই অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা।