সিলেট মহানগর প্রতিনিধি
সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাব এর সভাপতি ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাব এর সদস্য শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান এর মোবাইল সহ কয়েক হাজার মোবাইল চোরি হয়েছে গত ১১
জানুয়ারি রাত সাড়ে নয়টায় সিলেট এমসি কলেজের মাঠে ডাঃ মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ চলজালীন অবস্থায় বালুচর পয়েন্ট এর আম্বর খাঁনা টিলাগড় রোড ওয়াজ ভক্ত লক্ষ লক্ষ মাানুষের ভীরে প্যান্ট এর পেকেট থেকে তিনির মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান হযরত শাহপরান থানায় গিয়ে জিডি করেন।ওই ঘটনার প্রায় ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান জানান,আমার মোবাইলটি নতুন Samsung Galaxy A34 5G model যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ৫০,০০০ টাকা দাম ছিল মোবাইল ফোনটির। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো- মোবাইলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এ কারণেই মোবাইলটি উদ্ধারের জন্য জিডি দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশ ১১ দিনে সেটি উদ্ধার করতে পারেনি।এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে আপডেট কোনো তথ্যও জানানো হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সিলেটেের এমসি কলেেজের মাঠে ড.মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল এসে খোয়া গেল কয়েক হাজার মোবাইল সহ লক্ষাধিক টাকার অলংকার সহ নগদ টাকা। এঘটনায় ৪ নারীসহ মোট ১২ জন আটক করেছে হযরত শাহপরান থানা পুলিশ। মোবাইল হারানোয় ঘটনায় শতাধিক মানুষ জিডি করতে থানায় ভীর জমানো অবস্থায় দেখাগেছে।
গত শনিবার ১১ জানুয়ারী রাত ৮টা ১০ মিনিটের পর মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ শুরু করেন মুফাসসিরে কোরআন ড: মিজানুর রহমান আজহারী। এমসি কলেজ মাঠ ছাড়া রাস্তার উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত লাখো দর্শক এবং ভক্ত অবস্থান নিয়ে ওয়াজ শুনেন। তবে মানুষের উপস্থিত এত বেশী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে বেগ পোহাতে হয়েছে। শুধু সিলেটেের মানুষ নয় সিলেট বিভাগসহ বিভিন্ন জেলা সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো নারী পুরুষ সহ নানা শ্রেণির মানুষ। এর মাঝে ছিনতাই কারী আর ছেচকা চোরের দল সুযোগ মত মোবাইল টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়ে যায়। এরপরে ও সন্দেহাতীত ভাবে ৪ নারী সহ মোট ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছেন আটককৃত ওই সব নারী সিলেট ও সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন।
আটককৃত দের বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে এক জনকে ছেড়ে বাকি ১১জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।