ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
সিলেট জেলা ডিবির ওসি আশরাফের লাইনম্যান মন্নান-নাজিম তা নিজেই জানেন না ওসি !
সিলেটের পুলিশ সুপারসহ উর্ধতন কর্তাব্যক্তিদের ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চালানো হচ্ছে, চোরাকারবারীদের রমরমা ব্যবসা।
গোয়াইনঘাট সীমান্ত জাফলং এর নাজিম উদ্দীন ও তার সহযোগী লাইনম্যান মান্নান মেম্বার। এই দুইজন মিলে সীমান্তে চোরাচালানের দুয়ার খোলে দিয়েছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিগত ছাত্রজনতার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর ভারতের সাথে সব ধরণের জনযোগাযোগ বন্ধ থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না সিলেটের জাফলং সীমান্তের চোরাচালান রুট।
চোরাকারবারীরা পুলিশের লাইনম্যান নাজিম উদ্দীন ও মান্নান মেম্বারের মাধ্যমে বখরা দিয়ে চোরাচালান রুটটি ওপেন করে রেখেছে। প্রত্যহ বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার বস্তা রসুন চালান হচ্ছে ভারতে। বিনিময়ে চোরাই পথে আমদানী হচ্ছে মদ, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, নাসির উদ্দিন বিড়ি,চা পাতা অস্ত্র, কসমেটিক্স, ফলমূল, কাঁচামাল ও ‘মিটা বালু’ নামে পরিচিত লাখ লাখ বস্তা ভারতীয় চিনি।
রসুন ছাড়াও এসব পণ্যের বিনিময়ে পাচার করা হয় বৈদেশিক মুদ্রা পাউন্ড ডলার রুপি ও আদম পাচার। মান্নান মেম্বারের তত্ত্বাবধানে সংগ্রাম ক্যাম্পের এলাকায় সাইনবোর্ড, লাল মাটি, আম তলা, সীমান্তে রেস্টুরেন্ট ও দোকান ব্যবসার আড়ালে গড়ে ওঠেছে কয়েকটি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ।
এবং নাজিম উদ্দিনের একটি অফিসও রয়েছে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় যেখানে বসে নাজিম উদ্দিন সকল ধরনের ব্যবসা সহজভাবেই করতে কোন বাধা হচ্ছে না।
বস্তাজাত প্রতিটি চোরাই পণ্যে চিনির বস্তা প্রতি ৩শ টাকা কিট, কসমেটিক, প্রতি কার্টুন থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করে এবং কোনো দামিপণ্য যেমন মোটর বাইকের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি দামি চোরাই পণ্যে থেকে নাজিম উদ্দিন ও মান্নান মেম্বার আদায় করে থাকে বড় অঙ্কের টাকা।
শুধু তাই নয় এই জাফলং সীমান্ত দিয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক নেতাকর্মীদের কে বিশালক্ষের টাকার বিনিময়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন নাজিম উদ্দিন ও মান্নান মেম্বার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিলেটের এসপি, জেলা ডিবি পুলিশ ও থানার ওসির নামে এসব বখরা আদায় করা হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ।
দিনরাত বখরা আদায় করে রাত ১০-১১ টায় ক্যাম্প এলাকায় রেস্টুরেন্টে বা দোকানে বসে টাকা ভাগ-বন্ঠন করা হয়ে থাকে। এ বাটবাটোয়ারায় গোয়াইনঘাট এলাকার সাংবাদিক নামধারী একাধিক ব্যক্তিও জড়ীত রয়েছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।
সিলেট জেলা ডিবির ওসি আলী আশরাফ এর মুঠো ফোনে কল দিলে রিসিভ করে তিনি বলেন, নাজিম উদ্দিন ও মান্নান মেম্বার নামের কোন ব্যক্তি কে আমি চিনি না, আমি এর বেশি কিছু বলতে পারবনা বলেই ফোন কেটে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি কিন্তু মান্নান মেম্বারের সাথে তাহার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এরকম হাজারো সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়ে হাজার হাজার নিউজ করছে আমার তাতে কিছু যায় আসে না আপনিও নিউজ করে আমার যাই পারেন করেন কোন সমস্যা নাই বলে ফোন কেটে দেন।
সূত্র- বাংলার মাটি