সিলেটে ‘বিউপনিবেশিত রাষ্ট্রভাবনা’ বিষয়ক সেমিনার

 

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিউপনিপেশিত রাষ্ট্রভাবনা’ শিরোনামের সেমিনার। চৈতন্য প্রকাশনীর আয়োজনে গতকাল বুধবার (১লা জানুয়ারি) নগরের জিন্দাবাজার এলাকার ইমজা হল রুমে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালায়ের শিক্ষক সৈয়দ নিজার, লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামজীর আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরান কামাল।

আলোচকরা জুলাই অভ্যুত্থানের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের যেই সংকট উন্মোচিত হয়েছে, তার থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে নতুন এক রাষ্ট্রভাবনা হাজির করেন।

যেই রাষ্ট্রভাবনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বর্তমান সংকটকে চিহ্নিত করে ঔপনিবেশিক ইতিহাসের মধ্যে৷

এতে বক্তারা বলেন, ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এই রাষ্ট্রের জনগণ ছিল প্রজা, রাষ্ট্র পরিচালনায় যার ছিল না কোনো অংশগ্রহণ।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ৭১ এ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের মধ্য দিয়ে জনগণের মুক্তির যেই আকাঙ্ক্ষা আমরা দেখতে পাই, সেই একই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন আমরা দেখি ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে৷

বক্তারা আরও বলেন, গুম-খুন, ক্রসফায়ার, মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক সংগঠনে বাঁধাপ্রদানের মাধ্যমে এই রাষ্ট্রের জনগণ হিসেবে আমাদের নাগরিক দূরে থাক, পরিণত করা হয়েছে বিমানবে, যেখানে মানুষ হিসেবেও আমাদের কোনো স্বীকৃতি ছিল না।

 

ফলে বিমানের মানবায়নই এই রাষ্ট্রের অধিনীতি হওয়া উচিত বলে মনে করেন আলোচকগণ। এই মানবায়নের শর্তরূপেই রাষ্ট্রকে ধর্ম, জাতি ও লিঙ্গ প্রশ্নে নিরপেক্ষ থাকতে হবে৷

আলোচকগণ বাংলাদেশে গুম-খুন, ক্রসফায়ার ও সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারখানেক মানুষ হত্যার মাধ্যমে কীভাবে আমাদের পরিণত করা হয়েছে বিমানবে এবং এর ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন৷ একই সাথে এর থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে কেন বিউপনিবেশিত রাষ্ট্রভাবনা জরুরি সেদিকেই আলোকপাত করেন৷

আলোচনায় আরও উঠে আসে বাংলাদেশে পরিচয়োত্তর রাজনীতির কাঠামো কেমন হতে পারে, যা এইদেশের রাজনীতিকে আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য সহায়ক হয়ে উঠবে।