বৃষ্টিপাত কমলেও উন্নতি হয়নি সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির। উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সিলেটের সবকটি নদনদীর পানি বেড়েছে। সেই সাথে অবনতি হয়েছে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির।
সোমবার নতুন করে বন্যাকবলিত ৬ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের সাথে বিভিন্ন উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোমবার সিলেটে খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়নি। কিন্তু উজানে ভারতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, ধলাই, খোয়াইসহ সবকটি নদীর পানি বেড়েছে। সুরমা ও লোভা নদীর পানিবৃদ্ধির ফলে কানাইঘাট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। আগের দিন অবস্থা অনেকটা অপরিবর্তিত থাকলেও গতকাল সোমবার পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে গৌরিপুর থেকে কুওরঘড়ি এলাকা পর্যন্ত সুরমার ডাইকে দেখা দেওয়া বিভিন্ন ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি রয়েছেন। সিলেট জেলা সদরের সাথে কানাইঘাট উপজেলার প্রধান সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
একই অবস্থা জকিগঞ্জ উপজেলারও। ভারতের আসাসের পাহাড়ি এলাকায় ভারি বর্ষণের ফলে বেড়েছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি। উপজেলার মানিকপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সুরমা-কুশিয়ারার ভাঙনের ফলে তলিয়ে গেছে জনপদ। সোমবার নতুন করে অনেক এলাকায় পানি ওঠেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমলসীদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গোয়াইনঘাট উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৭০ ভাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সারি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ ও সুরমার কারণে সিলেট সদর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে। নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।