ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে ভিয়েতনামের মুক্তিকামী জনতার ওপর সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং ডাকসুর যৌথ আহবানে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে ভিয়েতনাম সংহতি মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হোন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মতিউল ইসলাম ও মীর্জা কাদেরুল ইসলাম।
ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে দিনটিকে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
গতকাল বুধবার (১লা জানুয়ারি) সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ পূর্বসূরি মতিউল ইসলাম এবং মির্জা কাদেরুল ইসলামের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি মনীষা ওয়াহিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাশরুখ জলিলের পরিচালনায় শহীদ বেদীতে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উদীচী-সিলেটের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা দেবব্রত পাল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল – সিলেটের সভাপতি বিশ্বজিৎ শীল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রণ্ট-সিলেটের সাধারণ সম্পাদক বুশরা সোহাইল, ছাত্র ইউনিয়ন-সিলেট জেলার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহির আহমেদ জনি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্ত তালুকদার, গ্রীনহীল স্টেট কলেজের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম নাদিম প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে মনীষা ওয়াহিদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন তার জন্মলগ্ন থেকে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭৩ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে গুলি চালিয়ে সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে তার নগ্ন অবস্থানের স্বাক্ষর রেখেছিলো।
আজ পর্যন্ত প্রতিটি সরকার সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন পহেলা জানুয়ারিকে জাতীয়ভাবে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি দিবস ঘোষণার দাবি জানায়। পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকসহ সরকারি নথিপত্রে বাংলাদেশের প্রথম ছাত্রহত্যার ঘটনা বিবৃত করার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাস প্রচারের দাবি জানায়।”
শহীদ মতিউল এবং মির্জা কাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।