সিলেটের জৈন্তাপুরে চোরাকারবারীদের হামলা: মৃত্যুপথযাত্রী যুবক

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ

সিলেটের জৈন্তাপুরে চোরাকারীদের হামলায় নিয়াজ মিয়া (২২) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ওসামনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

গত ২২শে ডিসেম্বর রাত ১১টায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের যশপুর গ্রামের একটি মোদির দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

নিয়াজ মিয়া জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের কমলাবাড়ী গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে।

এ ব্যাপারে হামলার শিকার নিয়াজের মা হাছনা বেগম গত ২৪শে ডিসেম্বর বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের কমলাবাড়ী গ্রামের মো. আফজল মিয়া (২২) ও সাজ্জাদ মিয়া (২৪) এবং তাদের পিতা তোতা মিয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিজপাট ইউনিয়নের তোতা মিয়া ও তার দুই ছেলে আফজল ও সাজ্জাদ জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাচালানের সাথে জড়িত।

সম্প্রতি তারা ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে মদ নিয়ে আসার সময় বিজিবিকে দেখে তা রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওই মদের চালান জব্দ করে বিজিবি।

 

এরপর থেকে তোতা মিয়া ও তার দুই ছেলে তাদের মাদকের চালান নিয়াজ মিয়া ধরিয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ করে আসছিল এবং তাকে শায়েস্তা করতে উঠেপড়ে লাগে।

একপর্যায়ে গত ২২শে ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় তোতা মিয়া ও তার দুই ছেলে নিজপাট ইউনিয়নের যশপুর গ্রামের একটি মোদি দোকানের সামনে নিয়াজ মিয়াকে একা পেয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র দা ও চাকু নিয়ে হামলা করে।

 

হামলায় নিয়াজের মাথা, চোখ, কান মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। একপর্যায়ে নিয়াজের চিৎকারে আশেপাশের লোক জড়ো হতে থাকলে তোতা মিয়া ও তার ছেলেরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

 

পরে স্থানীয়রা নিয়াজকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিয়াজের অবস্থার অবনতি ঘটলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে নিয়াজ মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মো. বদরুজ্জামান বলেন হামলার ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামি গ্রেফাতারে অভিযান অব্যাহত আছে।