নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সোনাটিলা সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
গত রবিবার (২২শে ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল এলাকার সোনাটিলা নামক সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চিনির গুদামে অবৈধভাবে চিনি আনতে গেলে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, গত রবিবার রাতে তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশি ১৩ জন শ্রমিক।
পরে বিসিএফ তাদের ধরে নিয়ে গেলে বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা ভারতীয় চোরাকারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করে।
কিন্তু বিএসএফ সদস্যরা ১৩ শ্রমিককে ছেড়ে দিতে ৯ লাখ টাকা দাবি করে। বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা এত টাকা দিতে রাজি না হলে গতকাল সোমবার দুপুরে তাদের ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, পেটের দায়ে প্রতিদিন চিনি বহন করতে ভারতে প্রবেশ করেন শ্রমিকরা।
কিন্তু গত রবিবার (২২শে ডিসেম্বর) হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ অভিযান চালিয়ে শত শত শ্রমিকদের মধ্যে ১৩ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে আটককৃত বাংলাদেশি কয়েকজন শ্রমিকের নাম জানা যায়।তারা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার গুচ্ছগ্রামের সোহাগ (২৪), রুবেল (২২), মোবারক (২০), রনি (২১) এবং সোনাটিলা গ্রামের আরিফ ও নয়ন।
স্থানীয়রা জানান আটককৃত ১৩ জন শ্রমিকের মধ্যে ৯ জন হচ্ছেন জাফলংয়ের শীর্ষ চোরাকারবারী সামছুল ওরফে বরিশালী সামছুর লোক ও বাকী ৪ জন হচ্ছেন জাফলং গুচ্ছগ্রামের সাদ্দাম রুহির ছেলে ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চোরাকারবারী আব্দুল মান্নান ওরফে মান্নান মেম্বারের লোক ।
এব্যাপারে জানতে সামছুল ওরফে বরিশালী সামছু ও আব্দুল মান্নান ওরফে মান্নান মেম্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি ।
এ ব্যাপারে বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সোর্স থেকে শুনেছি। এ বিষয়ে বিএসএফ বা শ্রমিকদের পরিবার কেউই বিজিবিকে জানায়নি বা অভিযোগও করেনি।’