সিলেটের জাফলং সীমান্তে দলের নাম ব্যবহার করে বেপরোয়া শীর্ষ চোরাকারবারী জয়দুল-বাহিনী

 

বিশেষ প্রতিবেদকঃঃ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না।জয়দুলের নেতৃত্বে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া ভাবে ভারতীয় চোরাচালান দেশে নিয়ে আসছে।

অনেক ক্ষেত্রে জয়দুল চোরাকারবারীদের কাছ থেকেও নিয়মের অতিরিক্ত টাকা আদায় করার চেষ্টা করেন,ফলে চোরাকারবারীরা জয়দুল বাহিনীর সাথে একের পর এক সংঘর্ষ করে যাচ্ছে।তবে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পুলিশ বিজিবির নামে তাদের চাঁদাবাজি।

জয়দুল বাহিনীর এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট চোরাকারবারীরা। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।

ফ্যসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর বর্তমানে বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে লাইনম্যান জয়দুল সহ তার কয়েক সহযোগীর বিরুদ্ধে ।

জাফলং সীমান্ত এলাকার নলজুরী তামাবিল সোনা টিলা এলাকা সহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নিরাপদে ওপার ভারত থেকে ভারতীয় চিনি কিট কসমেটিক সহ বিভিন্ন ধরনের পন্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করতেছে। আর তার বিনিময়ে যাচ্ছে চায়না রসুন,মটরশুটি,ইত্যাদি পন্য,

জয়দুল বাহিনীর জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল ,এই চাঁদাবাজদের কারণে এলাকায় ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ওপার ভারত থেকে মদ ,ফেনসিডিলসহ দেশে প্রবেশ করেছে জয়দুল বাহিনীর নেতৃত্বে ,এর বিনিময়ে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকায় রফাদফার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করছে এই সিন্ডিকেট চক্র ।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,জয়দুল মিয়া, চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারা বিজিবি ও পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে। যারফলে লাইনম্যান জয়দুলের জন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনতে এই অবৈধ লাইনে চাঁদাবাজ হয়ে আসছেন জয়দুল মিয়া।

প্রতিদিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত এলাকায় মহড়া দিতে থাকে জয়দুল মিয়া ও তাদের একটি বিশাল বাহিনীর সদস্যরা। যার ফলে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন।

এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সংগ্রাম ও তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন ১২৭২নং আন্তর্জাতিক পিলার হতে ১২৬৪নং পিলার এলাকা। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই এলাকার সুযোগ সুবিধা ভালো।

২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বর্ডারের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিনা বাঁধায় ঢুকতে পারে চোরাকারবারীদের গাড়ী সমুহ।

সুযোগ সুবিধা ভাল থাকায় উপজেলার এই রোড গুলোদিয়ে অন্তত ১০ হতে ১৫ কোটি টাকার ভারতীয় মটর সাইকেল, মোবাইল হ্যান্ড সেট, শাড়ী, মহিষ,গরু, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, ফেন্সিড্রিল, বিভিন্ন ব্যান্ডের অফিসার চয়েস মদ,

আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারী, বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশী শাকসবজি, ঢাল, নারী।

বুঙ্গাড়ীদের গরু-মহিষের চালান আসছে এই গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল বাজারের ইজারাদাররা।

এ ব্যাপারে জানতে চোরাকারবারি জয়দুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে চোরাচালানের কথা শিকার করে বলেন আমি সামসুর কাজ করি,আর আমি বি এন পি দল করি । আমরা দলের লোকজন ও আমাদের নেতৃত্বে চলবে সীমান্ত এলাকা , সীমান্ত জুড়ে ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে থানা পুলিশের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করবে দলের পুলাপান তা না হলে সব বন্ধ থাকবে।

এবিষয়ে জানতে সার্কেল এস পি সাহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে ও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এবিষয়ে জানতে বিট অফিসার এসআই ওবায়দুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আজ নিয়ে মাত্র ৪ দিন হয় আমি এই বিটের দায়িত্বে এসেছি আমি সবকিছুর খোঁজ খবর নিচ্ছি, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন আমি তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।আমাদের পুলিশিং কার্যক্রম চালু আছে ।