মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গল উপজেলার লামুয়া মৌজার সোনাই ছড়া গাঙ্গের সিলিকা বালু উত্তোলন নিয়ে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকবাসীর দাবী ইজারাদার নির্দিষ্ট স্থানে বালু উত্তোলন না করে ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের ব্রীজের নীচ, কবর স্থান ও শ্মশ্বানের নিকট থেকে সিলিকা বালু তোলার কারনে এই স্থান হুমকির মুখে পড়েছে। ছড়ার পাশের এই স্থান ধ্বসে পড়ার সাথে সাথে পরিবেশের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে।
মানা হচ্ছেনা পরিবেশ আইন। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ফরমান মিয়া বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ৬০ দিনের স্থিতাবস্থা বজায় রেখে জবাব দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। রিট পিটিশন নং ৫৯৩৫/২৩. রিট পিটশনকারী ফরমান মিয়া জেলা প্রশাসকের নিকট করা আবেদনে জানাযায়, সোনাই ছড়া গাংঙ্গে ইজারা গ্রহীতা আবরু মিয়া সিলিকা বালু উত্তোলন করছেন সোনাই ছড়া গাঙ্গের কবর স্থান, শ্মাশ্বান ও ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের ব্রীজের নীচ থেকে। যার ফলে কবর স্থান, শ্মাশ্বান ঘাট, ব্রীজের নীচ ধ্বসে পড়ে যাচ্ছে। ধ্বসে যাচ্ছে এলাকার মানুষের জমিসহ ঘর বাড়ি।
এই সিলিকা বালু উত্তোলনের কারনে এলাকার পরিবেশ মারাত্নক ভাবে বিপর্যস্থ হচ্ছে। সোনাই ছড়া চা বাগানের কর্মচারী রাজা মিয়া বলেন, এই সিলিকা বালু উত্তোলনের কারনে চা বাগানের জমির মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে সোনাই ছড়া বাগানের কর্তৃপক্ষ বারবার আপত্তি করার পরও বালু উত্তোলনকারী আবরু মিয়া মানেনি।
পরবর্তীতে সোনাই ছড়া চা বাগানের ম্যানেজার তার কর্মচারী রাজা মিয়া, জাকির,ররবিন্দ্র, সিরাজুলকে বালু উত্তোলন দেখার জন্য পাহাড়াদার নিয়োগ করেন। তারা আপত্তি করার পরও তাদের বাধাঁ না মানায় ম্যনেজার তাদের ২ সাপ্তাহের হাজিরা কেটে নেন। সিরাজনগরের আব্দুস সালাম জানান, এই বালু উত্তোলনের কারনে তার ঘর বাড়ি জমি ধ্বসে যাচ্ছে। সোনাই ছড়া গাঙ্গ থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন বন্ধ করা এলাকাবাসীর দাবী। বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে সোনাই ছড়া গাংঙ্গের আশপাশের পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। রিট পিটিশনকারী ফরমান মিয়া বলেন, আমি মহামন্য হাইকোর্টের আদেশের কপি শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার(ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারকে পৌছে দিয়েছি। মহামান্য হাইকোর্ট ৬০ দিনের স্থিতাবস্থার আদেশ দিলেও প্রশাসন কোন ভূমিকা নিচ্ছেন না। তারা মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, সোনাই ছড়া গাংঙ্গে সিলিকা বালুর উত্তোলনের বিষয়টি মহামান্য হাইকোর্ট খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট জবাব চেয়েছেন। রিট পিটিশনে তাকে ৬ নং বিবাদি করা হয়েছে প্রশ্ন করলে বলেন, আমার নিকট কপি এখনো আসেনি। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।