ঝলক দত্ত, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
সবুজ পাতার আড়ালে ছাদ বাগানে গাছের থোকায় থোকায় ঝুলে আছে পাকা হলুদ রঙের অসংখ্য রসালো কমলা।
পাতার ফাঁকে উঁকি দেওয়া কমলার এমন দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ায় সবার। প্রথম দেখাতে যে কারও মনে হতে পারে এটা বিদেশের কোনো কমলার বাগান। কিন্তু না, ছাদে কমলার বাগানটি করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার ডা: সুহিত রঞ্জন দাশ।
তিনি জানান, আমার শখ বাগান করা, ইউটিউভে দেখেছি অনেকে বাসার ছাদে কমলা এবং মাল্টার ছাদ বাগান করেছে, সেই থেকে আমার ইচ্ছা জাগে আমিও আমার বাসায় ছাদে এই ধরনের একটি কমলার বাগান তৈরি করব। আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সেখান থেকে চায়না থ্রি জাতের কমলার চারা এনে ছাদ বাগানে রোপণ করি। গাছে কোনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করিনি। শুধু গোবর সার ব্যবহার করি। গাছ লাগানোর দুই বছরেই মধ্যে কমলা ধরেছে। এক একটি গাছে ৮০ থেকে ৯০টি কমলা ধরেছে। ছাদ বাগানে কমলা ছাড়াও মালটা, সফেদা, আম, ডালিম, আমড়া বাগান করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘরের ছাদের উপর কমলা বাগানের ছবি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই আসছেন ঘরের ছাদের কমলা বাগান দেখতে। বাগানে ঘুরতে আসা বিশ্বজিৎ রায় লিটন বলেন, ছাদ বাগানে গাছের থোকায় থোকায় ঝুলে আছে পাকা হলুদ রঙের কমলা ও মাল্টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। দাদার বাগানের কমলা ও মাল্টা ফলগুলো আকারে যেমন বড় ,খেতেও তেমনি খুবই সুমিষ্ট। আমার বাসায় কিছু খালি জমি পড়ে আছে, সেখানে আগামীতে কমলার চাষ করার ইচ্ছা আছে।
শিক্ষক সুমন সরকার বলেন, আমাদের দেশের পতিত অনেক জায়গা রয়েছে। এই সব পতিত জমিতে চারা রোপণ করে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে দেশের বাইরে থেকে আনা কমলার যে গুণগত মান তার থেকে আমাদের দেশের কমলার গুণগত মান সেরা হবে ও লাভবান হতে পারবে এবং বেকারত্ব কমে আসবে।