শবেবরাতের রাতে সিরনি বিতরণের ছবি তুলতে বাঁধা দেয়ায় দূবৃত্তদের হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত।।

 

ওসমানী নগর প্রতিনিধি:
শবেবরাতের রাতে মসজিদে সিরনি বিতরনের ছবি মোটোফোনে তুলতে মসজিদের মুসল্লিগন বাঁধা দেয়ায় একই গ্রামের আসামী নাজমুল হোসেন নাঈম গং দের অতর্কিত হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের হামলার শিকার আহত ৩ জনকে তৎক্ষনাৎ রক্তাক্ত
মুমুর্ষ অবস্থায় সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রোজ শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে ওসমানীনগর থানার রাউৎখাই বড় জামে মসজিদের গেইটের সম্মুখে এই ঘটনাটি ঘটে।
উক্ত ঘটনায় মোঃ শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী ও অজ্ঞাত নামা আরোও কয়েকজন সহ সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেড ২য় আদালতে ওসমানীনগর সিআর ৫৬/২৫ নং মামলা দায়ের করেন । মামলাটি বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি এফ আই আর পূর্বক তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট থানাকে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী রোজ শুক্রবার শবেবরাতের দিবাগত রাত
রাউৎখাই বড় জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে সিন্নি বিতরনকালে ১নং আসামী নাজমুল হোসেন নাঈম তাহার মোবাইলে সিন্নি বিতরনের ভিডিও ধারন করিতে থাকিলে মসজিদের মুসল্লিগণ শবে বরাতের রাতে ভিডিও ধারনে বাধা দেন। ১নং আসামী উপস্থিত মুসল্লিগণকে বুঝাইয়া দিবে বলিয়া চলিয়া যায়। তৎপর রাত অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময় বাদী ও তাহার পুত্র শাফিউর রহমান ও সিরাজাম মুনির ও সাক্ষীগণ মসজিদ থেকে বাহির হলেই মসজিদের গেইটে যাওয়া মাত্র সমূহ আসামীগণ দা, রামদা, লোহার পাইপ, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র নিয়া বাদী, ভিকটিমগণ ও মসজিদের মুসল্লিদের উপর অতর্কিত হামলা করে। ১নং আসামীর হাতে থাকা রামদা দিয়া বাদীকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার মাথা লক্ষ্য করে ছেদ মারিলে ছেদটি বাদীর কপালে পড়িয়া কপালের হাড় ভাঙ্গিয়া ও কপাল কেটে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয় এতে বাদীর কপালে ৬টি সেলাই দেওয়া হয়। ২নং আসামী দিলাল আহমদ তার হাতে থাকা রামদা দিয়া ভিকটিম শাফিউর রহমানকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া ছেদ মারিলে মাথার বাম সাইটে পড়িয়া মাথায়ভাঙ্গিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত কাটা জখম হয় এতে তাহার মাথায় ৭টি সেলাই দেওয়া হয়। ভিকটিম শাফিউর রহমানকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা মাথায় মারাত্মক আঘাত করিলে তাহার মাথায় ৬টি সেলাই দেওয়া হয়। ৪নং আসামী জাহাঙ্গীর তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়া ভিকটিম শাফিউর রহমানকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে বারিটি তাহার মুখের বাম চোখের নিচে পড়িয়া চোখের নিচের মাংস তেতলাইয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয় এতে তাহার মুখে ৩টি সেলাই দেওয়া হয়। ৫নং আসামী আত্তর আলী তাহার হাতে থাকা দা দিয়া ভিকটিম সিরাজাম মুনিরকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিযা ছেদ মারিলে ছেদটি তাহার মাথার পিছনে পড়িয়া মাথার হাড় কেটে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয় এতে তাহার মাথায় ৩টি সেলাই দেওয়া হয়। ৬নং আসামী শফিকুল তাহার হাতে থাকা লাঠি দিয়া ভিকটিম সিরাজাম মুনিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে মারাত্মক জখম করে। ৭নং আসামী নাছিম আহমদ তাহার হাতে থাকা লাঠি দিয়া ভিকটিম শাফিউর রহমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক লিলাফুলা জখম করে।
বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীগণের সুর চিৎকারে
আশপাশের লোকজন দৌড়াইয়া আসিলে আসামীগণ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাক্ষীগণ ঘটনাটি দেখিয়া এবং তারা আসামীগণের অস্ত্রের তান্ডবে বাদী ও ভিকটিমদেরকে রক্ষা করতে পারে নাই। বাদী ও ভিকটিমদের রক্তাক্ত অবস্থা দেখিয়া উপস্থিত লোকজন বাদী ও ভিকটিমদের সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাদীকে ২৭নং ওয়ার্ডের BN X6 নং বেডে, ভিকটিম শাফিউর রহমানকে ২৭নং ওয়ার্ডের BN X7 নং বেডে, ভিকটিম সিরাজাম মুনিরকে ২৯নং ওয়ার্ডের ২৭নং বেডে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদানের পর আহতরা কিছুটা সুস্থ হইয়া গত ১৭/০২/২০২৫ ইংরেজী সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেড ২য় আদালতে ওসমানীনগর সিআর ৫৬/২৫ নং মামলা দায়ের করেন । মামলাটি বর্তমানে ওসমানী নগর থানায় তদান্তাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।।।