নিজস্ব প্রতিবেদক :
দক্ষিন সুরমা বাসটার্মিনাল এলাকার কুখ্যাত জুয়ারী নজরুল গংরা বেপরোয়া বেসামাল হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় প্রশাসন বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অজ্ঞাত কারনে নেয়া হচ্ছে না জুয়ারী নজরুল, পুলিশের সোর্স সানি সহ তাদের সহযোগীদের বিরোদ্ধে স্থায়ী কোনো আইনী ব্যবস্থা।
জুয়ারী নজরুলের জুয়ার আস্তানায় মাঝে মধ্যে জামাই আদরে অভিযান পরিচালিত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও থেকে যায় আইনের নানান ফাঁক ফোঁকর। অভিযানের পরক্ষনেই আবার যেই সেই নজরুলের জুয়ার আস্তানা জমজমাট হয়ে ওঠে। দক্ষিণ সুরমার জুয়ারীদের গডফাদার জুয়ারী নজরুলকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের এত অনিচ্ছা কেন…?
অবাক হলেও সত্য বাসটার্মিনাল এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি এবং পাশেই থানা প্রশাসন রয়েছে তার পরেও জুয়ারী নজরুল কি ভাবে যমুনা মার্কেটের সামনে অবৈধ ভারতীয় তীরখেলা জান্ডুমান্ডু সহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে বিষয়টি জনমনে রহস্যের জট বেঁধেছে।
সাধারণ জনগন বেশ অবাক ও বিস্মিত হয় এই কারনে পরিবহন শ্রমিক জুয়ারী নজরুল এত সাহসী ভূমিকা নেয় কেমনে…?
💢নজরুলের জুয়ার আস্তানা কোথায় :
👉বাসটার্মিনাল থেকে ক্কীন ব্রীজ আসার পথে যমুনা মার্কেটের সামনে প্রধান সড়কের বাম পাশে নজরুলের জুয়ার আস্তানা। পাশেই রেলওয়ে স্টেশন তার সামনেই প্লাস্টিকের বস্তা ধারা ঘর তৈরী করে এর মধ্যেই অবৈধ তীরখেলা, জান্ডুমান্ডু সহ নানা অপকর্মের আস্তানা বানানো হয়েছে । অথছ এই জায়গাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বাস টার্মিনালের মানুষ ও রেলস্টেশনে মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত রয়েছে এতে প্রয়োজন বিশেষ নিরাপত্তার। আরোও একটু এগুলে একদিকে ৫০ গজের মধ্যে রেল স্টেশনের প্রধান গেইট অন্য পাশে নছিবা খাতুন স্কুল ও তাদের গেইট।
এর চেয়েও বড় বাস্তবতা হলো প্রায় ২০০ গজের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ি ও ১ কিঃ মিটারের মধ্যে থানা প্রশাসন থাকার পরেও কি এমন অদৃশ্য ক্ষমতার বলে জুয়ারী নজরুল তার জুয়ার আস্তানা জুয়া খেলাসহ নানা অপরাধমূলক অপকর্ম দিব্যি রাজার হালে চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এই মাহে রমজান পবিত্রতা রক্ষাকরা সকলের ঈমানী দায়িত্ব তবুও বন্ধ হচ্ছে না জুয়ারী নজরুল ও পুলিশের সোর্স সানির জুয়ার আস্তানা।।
এমনসব নানা প্রশ্ন দক্ষিণ সুরমার সর্বস্থরের মানুষের মনে বার বার দেখা দিলেও প্রতিকার পাওয়ার কোনো উপায় নেই…?
জুয়ারী নজরুল কখনো আওয়ামীলীগের আবার কখনো বিএনপির যখন যা কাজে লাগানো যায় সেই কৌশলই অবলম্বন করে প্রশাসনকে আঁতাত করে দক্ষিণ সুরমায় জুয়া সহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বরাবরই সংবাদের শিরোনাম তৈরী হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়না।
দক্ষিন সুরমা সহ সিলেটের সচেতন জনগন কৌতুহলের সাথে জানতে চান জুয়ারী নজরুল পরিবহন ব্যবসার আড়াঁলে জুয়া ও মাদক চুরি ছিনতাই প্রকাশ্যে চালিয়েও কেন পার পেয়ে যাচ্ছে!
কেন তার জুয়া সহ নানা অপরাধের সাক্ষি জুয়ার আস্তানা বন্ধ কারা হয় না! নাকি বন্ধ করলে দলীয় অসাধু নেতাকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশের কাচা টাকার স্বাদ বেস্তে যাবে। কোনটি সঠিক তা জনগন জানতে চায় সংশ্লিষ্টদের কাছে। চলবে….