বিভাগীয় ব্যুরো ইনচার্জ, খুলনা
বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানা গাংনী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা,(অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য)মোঃ আবুল হোসেন খান একমাত্র পুত্র মোঃ নাঈম খান গত ১৪/০৩/২০২২ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ০৮ সময় দুর্বৃত্তের হাতে গাংনী গ্রামে মোঃ হীরানের বাড়িতে খুন হয়।।পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খানের তিন সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তান মৃত নাঈম খান। মৃত নাঈম খান স্থানীয় মোল্লারহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উক্ত খুনের পর ২৭/০৩/২০২২ ইং তারিখ মৃত নাঈম খান এর মাতা নাজমা বেগম(৫২) বাদী হয়ে মোল্লারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা নাম্বার ০৪
তাং ২৭/০৩/২০২২ইং
ধারা:৩০২/৩৪ পেনাল কোড-একই উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অপরাধ।
১৮৬০ সালের আইনে মামলা রুজু হয়। বর্তমান মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টেশন ইনভে: (PBI) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উক্ত মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি সহ আরো কয়েকজন আসামি খুনের সাথে জড়িত থাকার কারনে গ্রেপ্তার হন।
১/নাছির শেখ
২/মোঃ রনি
৩/মোঃ হেলাল
৪/মোঃ হাবি
উক্ত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অগ্রিম জামিন নিয়ে আসেন
১/সেতু শেখ (৩৪)পিতা শেখ জাকির হোসেন
২/আলাউদ্দিন (৪২)পিতা আব্দুল খালেক সেখ
৩/আলী আহমেদ শেখ (৪৫)পিতা-মান্দার শেখ
৪/বদরুল শেখ (৪৩) পিতা ইন ইঞ্জিন সেখ
৫/সাদ্দাম সেখ (৩০) পিতা শেখ জাকির হোসেন
৬/হান্নান সর্দর(৩২) পিতা কুদ্দুস সরদার
৭/লিপু সর্দার (৪৫) পিতা-মৃত সুবহান সরদার
৮/মুরসালিন শেখ পিতা সৈয়দ শেখ
৯/মোয়াজ্জেম শেখ (২৫) পিতা হিমু সেখ
১০/শাহিন শেখ পিতা নাজের শেখ
১১/কালাম শেখ পিতা মৃত আতিয়ার শেখ
১২/রবিউল সেখ (৩০)পিতা উজির আলী শেখ
১৩/রুবেল শেখ (৩৫) পিতা গাউস সেখ।
সর্ব সাং গাংনী থানা মোল্লাহাট জেলা বাগেরহাট।
আসামি গং জামিন পেয়ে বাদী নাজমার বাড়িতে গত২৩/০৯/২০২২ইংতারিখ মাগরিবের নামাজ এর সময় এসে হানা দেয়। সে সময় তাদের নাম ঠিকানা বা পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনজনের পরিচয় দেয় আমরা নাঈম হত্যা মামলার আসামি তিনজন ১/নাসির ২/সেতু এবং আব্দুর রহিম। নাজমা বেগম তখন জানতে চাই কেন আমার ছেলেকে হত্যা করেছিলে ?তাহারা তখন বলে তোমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে সে তো চলে গেছে এখন মামলা তুলে নাও না হলে তোমার ছেলের মত তোমাকেও পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। এমন কথা শুনে নাঈমের মাতা নাজমা বেগম চিৎকার করে, এবং চিৎকার শুনে আশেপাশে লোকজন যখন জড়ো হয়। এবং পাশের বাড়ির লোক ঘটনাস্থানে উপস্থিত থাকা (১)নাজেরা বেগম স্বামী নুর ইসলাম (২)লিতুন বেগম স্বামী টুটুল শেখ এবং নাজমা বেগম স্বামী শামসু শিকদার সবাই আসামি সেতু কে চিনতে পারে তখন বাড়ির ভিতর থাকা তিনজন এবং বাড়ির বাইরে থাকা সাত আট জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার (ইন্সপেক্টর) মোঃ একরাম (পিবিআই) বাগেরহাট এর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উক্ত আসামি গন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন এবং বাদির বাড়িতে গিয়ে বাদিকে মামলা মিটানোর জন্য প্রেসার এবং ভয় ভীত দেন এবং মৃত নাইমের মা বাদী নাজমা বেগম মামলা মেটাতে না চাইলে তাকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করেন এ ব্যাপারে তিনি অবগত। অফিসার ইনচার্জ আরো বলেন উক্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে সত্যতা যাচাইপূর্বক তিনি একটি প্রতিবেদন তৈরি করে কর্মরত ব্যবস্থাপক এর কার্যালয় পৌছাবে দিবেন। অফিসার ইনচার্জ বলেন সঠিক তদন্ত এবং উক্ত খুনের সঠিক আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনিক পদক্ষেপে সে নিজেকে সর্বদা প্রস্তুত রাখবেন।
উক্ত মামলার সাক্ষী গন
১/ আজম খান(৬০)পিতা মৃত আবুল কাশেম খান
২/ মজিবুর মোল্লা(৩৫) পিতা-মৃত
আদিল উদ্দিন মোল্লা
৩/ জিকির খান(৩৪) পিতা-মৃত হেমায়েত খান।
৪/ আরিফুল শেখ(৩৫) পিতা-মৃত আব্দুল হক শেখ।
৫/হারুন ফকির(৫২) পিতা-মৃত কুটি মিয়া ফকির
৬/ আশরাফ মোল্লা(৩৬)পিতা মৃত আকমান মোল্লা
৭/ মনু খান(৩৫) পিতা নুর ইসলাম খান।
সর্ব সাং গাংনী থানা মোল্লারহাট জেলা বাগেরহাট।
বাদি নাজমা বেগম বলেন আমার ছেলেকে খুন করার পর আমি হঠাৎ স্টক করে অসুস্থ হয়ে গিয়েছি চলাফেরা করতে পারি না।আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বাড়ি এসে আমার নিরাপত্তা কোথায়? তিনি আরো বলেন প্রশাসনের কাছে আমার নিরাপত্তা দাবি আশা করতেছি। এবং তার ছেলের খুনিদের ফাঁসি দাবি করেন।