মোল্লাগ্রামে বাড়ীর মালামাল লোপাটের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা

সিলেট থেকে সাংবাদাতাঃ

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন হেতিমগঞ্জ এলাকার ৩৭ নং মাইজভাগ মৌজার মোল্লাগ্রামস্থ সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের পার্শ্বে বাদী মোঃ আং মালিক ও আব্দুলার মালিকানাধীন এস এ ২২৯০ ও আর এস ৪৩৩৬ দাগের বাড়ীর ভুমিতে নতুন করে দালান ঘর নির্মানের জন্য নানান উপকরণ, যেমন – ইট, বালি, বাঁশ ও ইটের আধলা, রড ইটের কংক্রিট সহ আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুর্ব থেকে রাখেন বাদী আব্দুল মালিক।

কিন্তু এলাকার একটি উশৃংখল, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী চক্র দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহরা দিয়ে গত ০৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং গভীররাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় নতুন ঘর নির্মানের জন্য রাখা সমোদয় মালামাল সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্ষিত মালামাল রাতের আঁধারে লোপাট করে নিয়ে যায়। আংশিক কিছু ইট আধলা বিদ্যালয়ের মাঠে ছিটাইয়া ফেলে যায়।

এছাড়া সন্ত্রাসীরা বিবাদীর বাড়ীর মাটি ও গাছ কাটিয়া নষ্ট করে এবং দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে বলে মামলায় বিবরণে উল্লেখ করেন।

অভিযোগে আরোও জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে মোল্লাগ্রামের মৃত হাজী মৌলা বক্সের জ্যেষ্ট পুত্র বেতার শিল্পী মোঃ আব্দুল মালিক বাদী হয়ে, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট ও ১ম ( দ্রুত বিচার) আদালত সিলেটে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইন ২০০০ এর ৩/৪/৫ ধারায় মামলা রুজু হয়।

যাহা গোলাপগঞ্জ সি আর “দ্রুত বিচার” মামলা নং ২২ / ২০২২ ইং। উক্ত মামলায় মোল্লাগ্রামের মৃত নুর বক্সের পুত্র মুজিবুর রহমান দুলাল, মৃত আছাব উদ্দীনের পুত্র মুহিবুর রহমান, ময়নুর রহমান ময়না , নিমাদলের মৃত সিদ্দিক আলীর পুত্র আলাউদ্দিন ও মোল্লাগ্রাম সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজিয়া কুলসুম চৌধুরী সহ মোট ৩৫ জন বিবাদীর নাম ঠিকানা উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত নামা গং হিসাবে ৪০/৪১ জনকে আসামী করে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরনে তিনি আরো উল্লেখ করেন মামলার ১ ও ২ নং বিবাদীর নির্দেশে এ ধরনের জঘণ্যতম অপরাধ মুলক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালিত করে বাদীর প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে বলে উল্লেখ করেন।