বিদেশে পাঠিয়ে প্রতারনা করে মনিরের সাড়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বিদেশে পাঠিয়ে প্রতারনা করে মনিরের সাড়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

বিদেশ ওমান নিয়ে প্রতারনা শিকার শ্রীমঙ্গলের মনির।

মনিরের স্ত্রীর বলেন ঋনের যন্ত্রণা ও অমানবিকতার কারনে তিন সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোন গতি থাকবে না।

মনির হোসেনকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হিসেবে ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা বেতনে প্রবাসে ওমান যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে প্রতারনা করেছে দালাল চক্র।

(এরা হলো প্রতারক দালাল চক্র)

০১) মোঃ দুলাল মিয়া (ওমান প্রবাসি) (৪২) পিতা- কুদ্দুস মিয়া, ০২) মোঃ আফজল মিয়া (২৪) পিতা মোঃ কুদ্দুস মিয়া, উভয় সাং-জামসী তপসীপাড়া, সর্ব ইউ/পি ০৬নং আশিদ্রোন, ০৩/ কাউছার মিয়া (৪০) মৃতঃ আবুল বাশার, সাং-টিকরিয়া – কুমিল্লা পাড়া, ০৪/ কুদ্দুস মিয়া, অজ্ঞাত, সাং-জামসী তপসীপাড়া, ইউ/পি ০৬নং আশিদ্রোন, থানা শ্রীমঙ্গল, জেলা মৌলভীবাজার।)

বেশী টাকা আয় করার জন্য দালালদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলো মনির, দালাল চক্রের একজন ওমান প্রবাসী দুলাল ভিসা, বিমান ভাড়া সহ, সর্বসাকুল্য ৪,৩৫,০০০/- চার লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকা প্রদান করেন মনির।
অতঃপর গত ২২-০১-২০২২ ইং তারিখে মনির হোসেন প্রবাসে ওমানে যায়। সেখানে গিয়ে দালাল দুলালকে কাজের কথা এবং আকামার কথা বলিলে আজ কাল বলে সময় নষ্ট করিতে থাকে। মনির কোন কাজ কর্ম না পাইয়া সেখানে মানবেতর জীবন যাবত করছেন, দুলাল প্রবাসে থাকিয়াও মনিরকে খাওয়া থাকা কাজ আকামা সহ কোন প্রকার সহযোগীতা করেনি।

ফোন করলে দেশে থাকা দালাল চক্রের অন্যরা ফোন ধরে না।

পরবর্তীতে ঘটনাটি বিভিন্ন পর্যায়ের মুরব্বিদের অবগত করলে এ ব্যাপারে দেশে থাকা দালাল চক্রের কাওছার কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে কোন সদুত্তর না দেওয়ায় গত ২৬-০৩-২০২২ ইং তারিখে স্থানীয় মুরুব্বি ও মানবাধিকার সংগঠনের কিছু নেত্রীবৃন্দ ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি বিচার সালিসের আয়োজন করা হয় । সেখানে দেশে থাকা দালাল চক্রের একজন কাওছার মনিরের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে এবং উক্ত বিচারে জানায় যে উল্লেখিত বিচারের ০২ দিনের মধ্যে বিদেশে থাকা দালাল চক্রের আরেকজন দুলাল সহ আলোচনা করে অর্থাৎ ২৮/০৩/২০১২ ইং তারিখের মধ্যে মনিরের আকামা লাগিয়ে দেবে বলিয়া অঙ্গিকার করে।

যদি ২৮-০৩-২০২২ ইং তারিখের মধ্যে আকামা লাগাতে না পারে তাহলে মনিরের দেওয়া ৪,০০০০০/ (চার লক্ষ) টাকার পরিবর্তে ৮০০০০০/ (আট লক্ষ) টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করে। এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ বার সালিশ বৈঠক করে এবং বিভিন্ন ভাবে আশ্বাস প্রদান করে তাল-বাহানা করিয়া সময় নষ্ট করতে থাকে। দুলাল প্রবাসে (ওমান) থাকার কারনে শালিসি বৈঠকে হাজির না হয়ে দেশে থাকা দালাল চক্রের কাওছার মনিরকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে থাকে। সর্বশেষ শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিশিষ্ট মুরব্বিগণ ও আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তিনজন সম্মানিত মেম্বার, মানবাধিকার কর্মী, সংবাদকর্মী, রাজনৈতিক নেতা,পুলিশ প্রসাশন সহ সবাইকে কয়েকটা তারিখ করেও আকামা লাগাইয়া দিবে বলে তারিখ করিয়া আকামা লাগাইয়া দিতে পারেনি।

এখন দালাল চক্রের সাথে যোগাযোগ করিয়া বলা হয়েছিলো যে যদি আকামা লাগাইয়া না দিতে পারে তাহলে ভিকটিমকে পাসপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশে পাঠাইয়া দেওয়ার জন্য। কিন্তু এরা কোন ধরনের সহযোগিতা করছে না এবং ভিকটিমকে পাসপোর্ট দিয়ে দেশে পাঠাচ্ছে না সেখানে কোন কাজকর্ম ও করতে পারছে না। মনির প্রবাসেও থাকতে পারছে না আর পাসপোর্ট না থাকাতে বাংলাদেশেও আসতে পারছে না। দালালদের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করিয়া ও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। মনির বর্তমানে প্রবাসে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এবং বিদেশে থাকা দালাল চক্রের প্রধান দুলাল মনিরকে নানান ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

এদিকে মনিরের স্ত্রী জানান আমি আমার সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তানিতায় ভুগছে। এবং আমি আশঙ্কা করছি যে কোন সময় দালাল চক্র আমাদের উপর আক্রমন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন আমি আমার ০৩টি শিশু সন্তান ও ব্যাংকের ঋণের বুঝা কাঁধে নিয়ে প্রচন্ড অশান্তিতে দিনানিপাত করছি। এই অবস্থায় বেশিদিন চলতে থাকলে ঋনের যন্ত্রণা ও অমানবিকতার কারনে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোন গতি থাকবে না। দালালরা আমার ও স্বামীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা মূলক প্রতারণা করিয়া আমার সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন। আমি আমার প্রদান কৃত টাকা ও আমার স্বামীকে ফেরত চাই। আমার স্বামীকে অবৈধ ভাবে প্রবাসে পাঠাইয়া আমাদের অসহায় অবস্থার সৃষ্টি করিয়াছে।


সকল মানবাধিকার সংস্থা ও
ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, পুলিশ প্রসাশন সহ শালিসি বৈঠকের মুরুব্বিগণ এর নিকট আকুল আবেদন আমার স্বামী কে ফেরত চাই এবং ক্ষতিপূরণসহ দালালচক্রের সকলের শাস্তি কামনা করছি।
প্রায় ১৪/১৫ বার শালিসি বৈঠকে বসেও কোন সুরাহা হয়নি।

মনিরের স্ত্রী আরও বলেন শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আশাকরি মামলা রুজু করে দালাল চক্রের সকলেকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করবেন।
এবং আমার স্বামীকে দেশে আনা বা সেখানে আকামা দিয়ে একটি সুব্যবস্তা করে দিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *