না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, সামাজিক মাধ্যমে শোকের মাতম

 

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। গত শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহ আনা হয় চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন- বিএফডিসিতে।

সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।

সদা হাসি-খুশি এই নায়িকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সামাজিক মাধ্যমেও চলছে শোকের মাতম।

 

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও জনপ্রিয় খল অভিনেতা সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘কিংবদন্তি বাংলাদেশি চিত্রনায়িকা অঞ্জনা আপা আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন.. । আমার শোক জানানোর কোনো ভাষা নেই। দোয়া করবেন।’

অভিনেতা সোহেল রানা লিখেন, ‘‘না ফেরার দেশে চলে গেল অঞ্জনা। চলচ্চিত্র জগতের একটা আলো নিভে গেল। আল্লাহ তোমাকে বেহেস্ত নসিব করুন।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়ক জায়েদ খান লিখেছেন, ‘কত স্মৃতি আপনার সাথে,কিভাবে ভুলবো? না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী অঞ্জনা সুলতানা। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার জন্য দোয়া কামনা করছি।’

নায়কা অমিত হাসান লিখেছেন, ‘অঞ্জনা আপু আর দেখা হলোনা । না ফেরার দেশে আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক । আমিন।’

অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি লিখেছেন, ‘·ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন,ধরে রাখতে পারলাম না তোমাকে, জানি না কতটা কষ্ট নিয়ে চলে গেছো। তোমার আত্মাটা যেন শান্তি পায় সেই দোয়াটা থাকলো, অঞ্জনা আন্টি তুমি ভালো থেকো যেখানেই থাকো।’

চিত্রনায়িকা শাহ হুমাইয়রা সুবহা লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ভালো থাকবেন আপু মিস ইউ।’
শিল্পী অবন্তি সিথি লিখেছেন, ‘এতিম হয়ে গেলাম,আমার মা।

অভিনেতা সনি রহমান জানিয়েছেন, ‘রাত ১.২০ মিনিটে চলে গেছে জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা অঞ্জনা আপু । সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই আপা।’

অভিনেতা রাসেল মিয়া শোক জানিয়ে লিখেছেন, ‘সবাই দোয়া করবেন অঞ্জনা আপাকে জান্নাত দান করুক।’

নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক লিখেছেন, ‘না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী অঞ্জনা রহমান।  শোক ও শ্রদ্ধা আপনার জন্য ’

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অঞ্জনার মৃত্যুর বার্তা দিয়ে লিখেছেন, ‘অঞ্জনা দিদি আর নেই।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন …।

আমাদের চলচ্চিত্রের একজন সরল মনের চিত্রনায়িকা ছিলেন তিনি, তার সাথে আমার প্রথম পরিচয় সেই ১৯৯৭ সালে,

মূলত ডান্ডা মেরে ঠান্ডা ছবিতে কাজ করতে যেয়েই দিদির সাথে সখ্যতা। তার বাড়িতে কতোবার যে গিয়েছি দাওয়াত খেয়েছি কতো গল্প সেই সৃতি গুলো আজও মনে পড়ে।

শেষ দেখা নারায়নগঞ্জের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সব কিছুর উর্ধে তিনি ছিলেন আমাদের দেশের সম্পদ।

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন।

নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি। ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে তাঁর শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা।

 

এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।