বাংলাদেশ প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ফের অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে! কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই বালুর মাঠ নামক স্থানে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া খেলার রমরমা ব্যবসা। দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানায় অতিথে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হওয়ায় তারা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ডিবির কোনো অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জুয়ারীরা প্রকাশ্যে ভারতীয় তীর ও জান্ডুমান্ডু সহ জুয়ার আস্তানা খোলে হাতিয়ে নিচ্ছে সহজসরল মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা। গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর জুয়ারীরা আরো বেপরোয়া বেসামাল হয়ে উঠেছে পাত্তাই দিচ্ছেনা কাউকে। একইভাবে কদমতলী বালুর মাঠে কুখ্যাত জুয়ারী ও জুয়ার বোর্ড মালিক বাছন ও দীলিপ তাদের রমরমা জুয়ার ব্যবসা ও গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে তরুন ও যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
জুয়ারীরা স্থানীয় দলনেতা আর দালালদের আঁতাত করেই তারা জুয়ার বোর্ড ও আস্তানা প্রকাশ্যে দিবালোকে চালিয়ে যাচ্ছে। আর জুয়ার মালিকরা কামাই করছেন দৈনিক মোটা অংকের টাকা ।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের জানা থাকলেও নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা ও জুয়া বন্ধের কার্যক্রম।
খবর নিয়ে জানা যায়, মলমপার্টির সর্দার বাছন ও দিলীপ বালুর মাঠকে নৈরাজ বানিয়ে প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে একটি অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে রেখেছে। দিনমজুর রিকসা চালক, সিএনজি চালক সহ খেটে খাওয়া শ্রমিকরা প্রতিদিন যা আয় রোজগার করে তারা সবটুকুই জুয়ার আস্তানা বাছন ও দিলীপের আস্তানায় জান্ডুমান্ডু কিংবা তীর খেলায় এসে সব উজার করে শুন্য হাতে বাড়ী ফিরে।
আবার কেউ কেউ নিঃসহায় হয়ে শেষমেষ মাদক গাঁজা কিংবা ফেনসিডিল শেবন করে মাতাল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দেবাংশু দেবের সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টার পর তিনি ফোন রিসিভ করেন, তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার ফাঁড়ির সানেই বালুর মাঠে কুখ্যাত জুয়ারী বাছন ও দিলীপের প্রকাশ্যে জুয়ার আস্তানা চলছে, এছাড়া নজরুলের জুয়ার আস্তানা আপনি নিরভ রয়েছেন, কোনো অভিযান নেই এই প্রশ্নের সাথে সাথে এস আই ধেবাংশু পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, প্রতি উত্তরে বলেন আপনি পুলিশের কাছে চাঁদা চাইছেন। এমন কথা শুনে আঁতকে ওঠেন প্রতিবেদক পরে বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রতিক্ষণ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে জহুরুল ইসলাম কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন।